তুরস্ক পিছিয়ে গেলে, বেকায়দায় পড়তে পারে ইউক্রেন
রাশিয়ার বিশাল যুদ্ধাজাহাজ মস্কভা ১৪ই এপ্রিল কৃষ্ণ সাগরে ডুবে যায়। জানা গেছে – এ হামলায় তুরস্কের বায়রাকতার টিবি-২ ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেন। তাছাড়া, কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার আরেকটি ছোট উদ্ধারকারী জাহাজ ডুবিয়ে দিতেও ব্যবহৃত হয় এ ড্রোন। আর এ ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সাফল্য পাওয়ার খবর ফলাও করে প্রচার করা হয়। ফলে, ইউক্রেনকে একটি বায়রাকতার ড্রোন দিতে লিথুয়ানিয়ার সাধারণ জনগণ টাকা তুলে; যদিও পরবর্তীকালে লিথুয়ানিয়াকে বিনামূল্যে ড্রোন দেয়ার কথা জানায় বায়রাকতারের প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে হয়তো এ বায়রাকতার ড্রোন আর বেশীদিন ব্যবহার করতে পারবে না ইউক্রেন! কেননা, ইউক্রেনকে নতুন করে আর এ ড্রোন না দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে তুরস্কের প্রতিরক্ষা ইন্ডাস্ট্রি এজেন্সি। মার্কিন গণমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে এ তথ্য।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা ইন্ডাস্ট্রি এজেন্সির প্রেসিডেন্ট ইসমাইল দেমীর ওয়ালস্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন: আমি মনে করি, তুরস্ক একমাত্র দেশ – যেটি দু দেশকে (রাশিয়া ও ইউক্রেন) আহ্বান জানাতে পারে এবং শান্তি আলোচনার টেবিলে আনতে পারে। আপনি এটি কীভাবে করবেন – যদি এক পক্ষকে আপনি লাখ লাখ অস্ত্র দেন? দু পক্ষের সাথেই আলোচনার দরজা খোলা রাখতে হবে আমাদের। বিশ্বাস অর্জনের জন্যে দুপক্ষেরই কাছে যেতে পারে – এমন একজন থাকতে হবে। আমাদের লক্ষ্য হলো- শান্তি কিকরে বজায় থাকবে, তা নিশ্চিত করা।