কয়েক যুগ ধরে চলছে রক্তক্ষয়ী সংঘাত ও বিপর্যয় চলছে ইসরাইল বনাম ফিলিস্তিনের। এমন পরিবেশে ইহুদি ও আরবদের মাঝে আন্তঃবিবাহের প্রতিবাদ করে আসছে মূলধারার ইহুদিরা। কেননা, আরবদের সঙ্গে সম্পর্ক করে বেশির ভাগ ইহুদি ইসলামের প্রতি ঝুঁকে পড়ে। ফলে, ইহুদি ও আরবদের মাঝে আন্তঃবিবাহের বিরোধিতায় তৈরি হয়েছে বহু ইসরাইলি সংগঠন।
ইহুদি ও অ-ইহুদিদের মাঝে আরব পুরুষদের বিয়ে করে ইসলাম গ্রহণ করা নারীদের পুনরায় ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে ‘লেহাভা’ নামের সংগঠনটি। সংগঠনটি ইহুদি জাতির সুরক্ষায় কাজ করছে। অবশ্য অনেকে ইহুদি সংগঠনটির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার অভিযোগ তুলেছে।
২০০৭ সালে ইহুদি তরুণ নোয় শিটরিত ইসলাম গ্রহণ করলে, ইসরাইলে বেশ তোলপাড় শুরু হয়। কিন্তু সংগঠক আনাত পোপেস্টাইনের স্বামীর ভূমিকায় নোয় ঐ সম্পর্ক থেকে ফিরে আসেন। ২০০৫ সালে আনাত পোপস্টাইন নিজের স্বামীর সঙ্গে মিলে লেভাকা সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। তার কাছে প্রতিদিন অনেকে সাহায্য চেয়ে আবেদন করে বলে তিনি দাবি করেন। বহু নও-মুসলিম নারী নিজ ধর্মে ফেরার সমাধান চেয়েছেন বলে জানান তিনি। অনেকে পরিবার ও পরিচিতজনদের মাধ্যমে আপত্তিকর সম্পর্কের কথা জানিয়েছেন। এছাড়া, সংগঠনটি নানা জটিলতায় আক্রান্ত দুর্বল নারীদের সহায়তা করে সমাজে প্রতিষ্ঠার জন্যে কাজ করছে।
পোপস্টাইন বলেন: ইসরাইলে ইসলাম গ্রহণের নির্দিষ্ট সংখ্যা বলা কঠিন হবে। তবে আমরা জানি যে, ইহুদি থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের হার দিনে দিনে বাড়ছে। এর বাস্তব কারণ হলো – নারীরা মুসলিম পুরুষদের বিয়ে করে। পরে মুসলিম পুরুষরা ইহুদি নারীদের তাঁদের ধর্মে নিয়ে যায়। ইহুদি ধর্ম মতে, মিশ্র পরিবারের শিশুরা মায়ের কাছ থেকে ইহুদি ধর্মের উত্তরাধিকার লাভ করে। এখানেই বিষয়টি অত্যন্ত জটিল আকার ধারণ করে। কেননা, শিশুরা আরব বাবার সঙ্গে থেকে যায়। পরবর্তীকালে বড় হয়ে তারা আরবদের বিয়ে করে। এর মাধ্যমে তারা ইহুদি ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ইহুদিদের ইসলাম গ্রহণের বর্তমান পরিসংখ্যান নিশ্চিতভাবে বলা না গেলেও তা ক্রমাগত বাড়ছে; যেমন- ২০০৩ সালে সরকারি পরিসংখ্যান মতে, মাত্র ৪০ জন ইসলাম গ্রহণ করেছেন। কিন্তু ২০০৬ সালের প্রতিবেদনে ৭০ জন, অর্থাৎ ইহুদি ধর্ম থেকে ইসলাম গ্রহণের সংখ্যা গত তিন বছরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এরপর থেকে ধর্মান্তরের হার ক্রমাগতভাবে বাড়ছে।
সূত্র: স্পুটনিক নিউজ।