পূর্ব ভূমধ্যসাগর নিয়ে তুরস্কের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলার অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল।
গতকাল (সোমবার) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে কথোপকথনে ম্যার্কেল নিজেদের সমর্থন ব্যক্ত করেন। এ বিষয়ে জার্মান সরকারের তরফ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ম্যার্কেল জানিয়েছেন – পূর্ব ভূমধ্যসাগর নিয়ে এরদোয়ানের পদক্ষেপ ইতিবাচক। এখন আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া খুবই জরুরি।
উল্লেখ্য, সাইপ্রাস ও গ্রীসের পানি-সীমায় তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানী জাহাজ পাঠালে ইইউ উদ্বেগ প্রকাশ করে। তুরস্কের দাবি – ঐ এলাকা তুরস্কের পানিসীমায় পড়ে। এ নিয়ে তুরস্ক ও গ্রীসের মাঝে উত্তেজনা চরমে ওঠে। ইইউ বারবার তুরস্কের কাছে আবেদন জানায়, তারা যেনো ঐ তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানী জাহাজ ফিরিয়ে নেয় এবং সেখানে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান বন্ধ করে। কিন্তু এরদোয়ান তাতে কান দেননি।
ডিসেম্বরে ইইউ জানায়, তুরস্ক একতরফাভাবে উস্কানিমূলক কাজ করে যাচ্ছে। ইইউ শীর্ষ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয় – তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা শুধু ক-জন নেতা বা কর্মকর্তার উপর হবে না, বরং আরো ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। তুরস্ক ও ইইউ’র মাঝে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সেক্ষেত্রে ব্যাহত হতো। তাতে তুরস্ক রীতিমতো ক্ষতির মুখে পড়তো। ২৫-২৬শে মার্চ ইইউ’র বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ায় কথা।
এরদোয়ান প্রথমে এ হুমকি অগ্রাহ্য করলেও পরে কৌশলগত কারণে তাঁর সুর নরম করতে থাকেন। তুরস্কের জাহাজও এখন আর তেল ও গ্যাসের জন্যে ড্রিলিং করছে না। এ অবস্থায় এরদোয়ানের সঙ্গে ম্যার্কেলের কথা অবশ্যই ইতিবাচক পদক্ষেপ। জার্মানি অবশ্য প্রথম থেকেই তুরস্ক ও ইইউ-র মাঝে সেতু হিসাবে কাজ করেছে; বিরোধ মেটাতে চেয়েছে। ইউরোপের দেশগুলোর মাঝে জার্মানিতেই তুরস্কের সবচেয়ে বেশি লোক থাকেন।
সূত্র: ডেইলি সাবাহ।