গতকাল তুরস্ক অত্যাধুনিক স্টিলথ ইস্তাম্বুল ক্লাস যুদ্ধজাহাজ (ফ্রিগেট) পানিতে নামানোর উদ্বোধন করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের জন্যে মিলজেম প্রজেক্টের ৩য় করভেট তৈরির কাজও উদ্বোধন করেন এরদোয়ান।
৩০০০ টনের এই যুদ্ধ জাহাজের ৭৫% যন্ত্রাংশ তুরস্কের নিজেদের। সফটওয়্যার তুরস্কের আসালসান ও হ্যাভেলসান তৈরি করেছে। আসালসানের রাডার, তুরস্কের ATMACAএন্টিশিপ মিসাইল, হিসার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক সিস্টেমই তুরস্কের নিজেদের তৈরি।এই ফ্রিগেটে ১৬ টি আতমাজা এন্টিশিপ মিসাইল, ২টি টি এন্টিসাবমেরিন টর্পেডো লঞ্চার রয়েছে। এন্টি সাবমেরিন হেলিকপ্টারও থাকবে।
এরদোয়ান তার ভাষণে বলেন নৌ বাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্যে আরো ৫ টি বড় প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে তুরস্ক। এগুলো কমপ্লিট হলে তুরস্কের নৌ বাহিনী অনেক শক্তিশালী হবে। এর মধ্যে তুরস্ক নিজেরাই ৬ টা সাবমেরিন তৈরি করবে পিরি রেইস প্রজেক্টের আন্ডারে। সাবমেরিন তৈরির কাজ শুরু হবে ২০২২ সালে।
২০২১ সালের মধ্যেই তুরস্ক সম্পুর্ণ নিজেস্ব প্রযুক্তিতে এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার তৈরির কাজও শুরু করবে। আনাদোলু লাইট এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতা এই প্রজেক্টে কাজে লাগাবে।
এছাড়া লং রেঞ্জের নেভাল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ড্রোনকে এন্টিশিপ অপারেশনের জন্যে তৈরি, নেভাল ভার্সনের ড্রোন তৈরির প্রজেক্টও আছে।
পাকিস্তানের জন্যে মিলজেম প্রজেক্টের আন্ডারে যে করভেট তৈরি করতেছে এটার ৪টার মধ্যে দুইটা পাকিস্তানে এবং ২টা তুরস্কের তৈরি করবে। এবং সম্পুর্ণ প্রযুক্তি পাকিস্তানকে দিবে। এই প্রযেক্টের কাজ শেষ হলে পাকিস্তান নিজেরাই এই টাইপের করভেট তৈরি এবং আপগ্রেড করতে পারবে।
তুরস্ক ও পাকিস্তান আগামীতে যৌথভাবে আরো বড় বড় সামরিক প্রজেক্ট করবে। পাকিস্তানের ৫ম প্রজন্মের ফাইটার জেট তৈরির প্রজেক্ট “আজম” হয়ত বাতিল করতে পারে পাকিস্তান। এটার চেয়ে পাকিস্তান তুরস্কের ৫ম প্রজেন্মের TFX প্রজেক্টে গেলে বেশি লাভবান হবে।
TFX প্রজেক্ট বর্তমানে বেশ বেগবান হচ্ছে তুরস্ক ও ইংল্যান্ডের সম্পর্ক ভালো হওয়ার কারণে। দুই দেশের মধ্যে ইঞ্জিন নিয়ে বেশ পজেটিভ আলোচনা হয়েছে।