পশ্চিমা বিশ্বে নারীরা নাকি যা খুশি তা করতে পারছে ,ইচ্ছেমত চলতে পারছে , নিজেদের অধিকার আদায় করতে পারছে ,হয়রানী হচ্ছেনা !! মিডিয়া ফুলিয়ে ফাপিয়ে মুসলিম দেশে এসব প্রচার ও করে !যাতে মুসলিম নারীরাও তাদের মত অধিকার আদায়ের জন্য সচেতন হয় !
কিন্তু বাস্তবতা কি ? পশ্চিমা বিশ্বে নারীরা আসলে কতটুকু স্বাধীন ? তারা কি শান্তিতে আছে ? তারা কি নিজেদের ইজ্জত রক্ষা করতে পারছে নাকি প্রতিনিয়ত পুরুষ কতৃক লাঞ্চিত হচ্ছে ?
আমরা যদি সর্বাধিক ধর্ষণ অপরাধের সঙ্গে শীর্ষ ১০ দেশ এর নাম দেখি তাহলে অবাকই হতে হয় ! –
ভালো করে পড়ে দেখুন কারা সেরা ১০ এ অবস্থান করছে ?
১০. ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ড- ইউরোপের তিনজনে ১ জন নারী শারীরিক বা যৌন নির্যাতন ভোগ করে এবং ৫% ধর্ষিত হয়।মৌলিক অধিকার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন সংস্থা দ্বারা প্রকাশিত একটি ২০১৪ সমীক্ষা অনুযায়ী , ফিনল্যান্ড নারী প্রায় ৪৭% শারীরিক অথবা যৌন নির্যাতন ভোগ করে,; ডেনমার্ক ৫২% শারীরিক এবং অথবা যৌন নির্যাতন ভোগ করে ।১৫ বছরের আগেই প্রতি ১০ জন এ একজন ধর্ষিত হয়।
৯. জিম্বাবুয়ে- প্রতি ৯০ মিনিটে একজন , মাসে ৯০ জন , প্রতিদিন ১৬ জন নারী ধর্ষিত হয় । শিশু ধর্ষনের হার ৪২ ভাগ ।
৮. অষ্ট্রেলিয়া- প্রতি ৬ জনে ১ জ নারী ধর্ষনের শিকার ।
৭. কানাডা- প্রতি বছর ৪লক্ষ ৬০ হাজার কেস আসে ।এর বাইরে আরো রয়েছে অনেক ধর্ষন । ১৬ বছরের নীচে ধর্ষনের হার ১৭ %
৬. নিউজিল্যান্ড- রোষ্ট গোষ্টার নামক একটি দল রয়েছে যারা অল্পবয়সী মেয়েদের গ্যাং রেপ করে।১৬.৪ % নারী ধর্ষনের শিকার .১৬ বছর বয়সের পুর্বে প্রতি ৩ জনে ১ জন মেয়ে ধর্ষনের শিকার হয় । ৯ ভাগ মামলা হয়
৫. ইন্ডিয়া-প্রতি ২০ মিনিটে একজন নারী ধর্ষিত হয় । ধর্ষন ভারতে একটি ধর্মীয় অধিকার ।৯০ ভাগ ধর্ষনের কোন মামলা হয়না কিম্বা রেকর্ড থাকেনা ।সে হিসেবে ভারতকে বিশ্বের ১ নং ধর্ষনের দেশ ও বলা যায় ।
৪.ইংল্যান্ড এন্ড ওয়ালস – প্রতিদিন ২৩০ জন ধর্ষিত হয় ।প্রতি ৫ জনে একজন ১৬ বছরের পুর্বেই ধর্ষিত হয়।
৩. আমেরিকা- প্রতি ৩ জনে একজন নারী ধর্ষিত হয়। ১৮ বছরের পুর্বে ৪০ % ধর্ষনের শিকার ।১০৭ সেকেন্ডে একজন । ১২-১৮ বছরের মেয়েরা বছরে ২ লক্ষ ৯৩ হাজার জন ধর্ষিত হয় । ৬৮ % ধর্ষনের রিপোর্ট হয়না। ৯৮ ভাগ ধর্ষকের শাস্তি হয়না। এমনকি জেলেও নারীদের শান্তি নাই , ২ লক্ষ ১৬ হাজার নারী প্রতিবছর জেলে ধর্ষিত হয়
২. সুইডেন- প্রতি ৩ জনে ১ জন নারী ধর্ষিত হয়। লাখে ৫৩.২ জন
১. দক্ষিন আফ্রিকা – ৫ লক্ষ রেপ কেস প্রতিবছরে । ১১ বছরের নীছে ১৫ % মেয়ে ধর্ষনের শিকার । ৫০% ১৮ বছরের আগেই ইজ্জত হারায় ।
উপরের তথ্য থেকে সহজে বুঝা গেল পশ্চিমা বিশ্বে নারী স্বাধীনতার নারীরা কত ভয়ানক নির্যাতিত হচ্ছে, যা কল্পনার ও বাইরে। পাশ্চাত্যে নারী স্বাধীনতার নামে চলছে গনহারে সম্ভ্রম লুন্ঠন । পাশ্চ্যাত্যের একজন পুরুষ যতি নারীদের অধিকার দেওয়ার কথা বলুকনা কেন ,আসলে সে নারির প্রতি বর্বর ,হিংস্র ,হায়েনার আচরন করতে দ্বিধা করেনা। তারা নিজেদের সব্য ,উন্নত ,আধুনিক,শিক্ষিত বলে প্রচার করলেও মুলত এরাই অসভ্য ,বর্বর ,হিংস্র , নিরক্ষর প্রজাতির নিকৃষ্ট পশু।
ইহাই স্বাভাবিক ।
একজন নারী স্বাধীনতা চায় কার কাছ থেকে ? পুরুষের কাছ থেকেই তো । এখন পুরুষতান্ত্রিক সমাজে চাইলেই কি সে স্বাধীনতা পেয়ে যাবে ? যদি পেতই তাহলে পশ্চিমা বিশ্বে আজ নারীদের এ দুরাবস্থা কেন ?
এখন প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক তারা কেন নারীদের স্বাধীনতা দিচ্ছে ? পশ্চিমা বিশ্ব নারীদের স্বাধীনতা দিচ্ছে নিজেদের স্বার্থের জন্য । নারী যদি ঘরে আবদ্ধ থাকে তাহলে তারা তো তাদের কামনা বাসনা পুরন করা, নারিদের বঞ্চিত করা,নারীদের অবাধে ভোগ করা,নারীদের নিয়ে যা খুশি তা করতে পারবেনা ।পশুদের কোন জীবন ব্যবস্থ্যা নাই। নারী স্বাধীনতার আড়ালে আজ তারা পশুত্বের জীবনযাপন করছে। পশ্চিমাসহ কাফিরদের জীবন প্রনালী ও তাই। যার কারনে আজ পশ্চিমা বিশ্বে নারী স্বাধীনতার আড়ালে চলছে নারীত্বের চরম অবমাননা ।তাহলে নারী স্বাধীনতা চেয়ে তারা কি পেল ? লাঞ্চনা ,গঞ্চনা ,অবমাননা,ইজ্জতহানী ছাড়া আর কিছু পেয়েছে কি ?
বাংলাদেশে কথিত চুশীল সমাজ , নারিবাদি, হলুদ মিডিয়া ,নাস্তিকেরা কেন নারী স্বাধীনতার ধোয়া তুলতেছে ? কারন একই । এরাও চায় নারী রাস্তায় নেমে আসুক ,খুল্লাম খুল্লাম ঘুরুক , আটসাটো পোষাক পরুক,উলংগ হয়ে চলুক । তাহলে যখন খুশি,যত খুশি মেয়েদের ভোগ করতে সুবিধা হবে । পাশ্চাত্যে নারিদের উপর পুরুষদের নির্যাতন যার প্রমান । পাশ্চাত্যের দেশ সমুহ চাচ্ছেও তা । কাফিরদের দেশে নারিরা যেমন লাঞ্চিত হচ্ছে ,তারা চায় মুসলিম দেশেও তাই হোক । আর সেজন্য তারা এসকল দালালদের মাধ্যমে আজ নানাভাবে মেয়েদের প্ররোচিত করছে খেয়াল খুশিমত চলতে।
নারিদের মনে রাখতে একজন পুরুষ যতই ভালো সাজুক সে একজন পুরুষই। মুখে সে নারিদের জন্য উদার সাজলেও সুযোগ পেলেই ওই নারীর উপর থাবা দিতে সে দ্বিধা করবেনা ।যেসকল পুরুষ নারিদের অবাধ স্বাধীনতার কথা বলে তারাই মেয়েদের সম্ভ্রমহানী করে বেশি। চুশীল সমাজ, মিডিয়া যার নিকৃষ্ট প্রমান।
অপরদিকে সেরা ১০ ধর্ষনের দেশে নামের তালিকায় কোন মুসলিম দেশের নাম রয়েছে কি ? নাই । কারন মুসলমান তাঁর ধর্মীয় আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে পবিত্র জীবন যাপন করে । একজন মুসলমান ধর্মের আদেশে নিষেধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকে। ইসলাম দিয়েছে নারীদের সম্মানের জীবন । তাহলে নারীর কেন ইজ্জতহানী ? কারন নারীরা আজ ইসলামের আদর্শ থেকে দুরে সরে গিয়ে অমুসলিমদের অনুসরন করে তাদের নারিদের মত স্বাধিনতা চাচ্ছে ।
তাই আজ যেসকল নারী এদের ফাদে পা দিয়ে তাদের কন্ঠে কন্ঠে মিলিয়ে নিজেদের অবাধ অধিকার আদায়ের ধোয়া তুলছে, তাদের নিজেদের সিধ্বান্ত নিতে হবে তারা কি পশুর জীবন চায় নাকি সম্মানের জীবন ?