তুরস্কের সবচেয়ে বড় শত্রুদের অন্যতম আরব এমির্যাটস তুরস্কের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কথা বলেছে। এমির্যাটসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনোয়ার গারগাস সাম্প্রতি একটা সাক্ষাৎকারে এই রকম মন্তব্য করেছেন।
ব্যাপারটা খুব ইন্টারেস্টিং, যখন আগামী ২০ জানুয়ারী আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ক্ষমতা গ্রহণ করার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের বড় বড় দেশ তাদের ফরেন পলিসি কিঞ্চিৎ চেঞ্জ করছে। সৌদি আরবও তুরস্কের সাথে নতুন করে সম্পর্ক উন্নতি করার চেষ্টা করছে। এরপরে সৌদি তুরস্কের ঘনিষ্ট মিত্র কাতারের সাথে অবরোধ তুলে নিয়ে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। এরপরেই কাতারের এই ঘোষণা।
এমির্যাটসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনোয়ার গারগাস স্কাইনিউজে দেওয়া একটা সাক্ষাৎকারে বলেছেন,”আমরা তুরস্ককে বলতে চাই যে, আমরা তুরস্কের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাই পরস্পরের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান জানিয়ে”।
আনোয়ার গারগাসের আরো কিছু মন্তব্য হচ্ছে-
১. আমরা তুরস্কের সাথে কোন বিষয়ে দ্বী-মত করার কারণ খুজে পাই না।
২. আমরা তুরষ্কের প্রতি শত্রুতা পোষণ করি না।
৩. আমরা চাই তুর্কী যাতে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রধান সাপোর্টার না হয়।
৪. আমরা চাই তুরস্ক আরব বিশ্বের নতুন করে সম্পর্ক স্থাপন করুক।
এছাড়া কাতার ও সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পরে এমির্যাটস পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে তুরস্কের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার এমির্যাট। আমরা তুরস্কের বিরুদ্ধে জাতি বিভেদ সহ্য করব না।”
বর্তমানে তুরস্কের সবচেয়ে বড় শত্রুর অন্যতম আরব এমির্যাটস বা বলা যায় সবচেয়ে বড় শত্রু৷ সিরিয়া, লিবিয়া, ইরাক, মিশর বা ভু-মধ্যসাগরেও তুরস্কের বিপরিতে অবস্থান আরব এমির্যাটসের।
সিরিয়া, লিবিয়া বা ইরাকে তুরস্ক বিরোধী শিবিরে এমির্যাটস অস্ত্র, অর্থ, কূটনীতিক সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছে।
এমনকি ভু-মধ্যসাগরে গ্রিসের সাথে তুরস্কের উত্তেজনার সময় গ্রিসে আরব এমির্যাটস F-16 Block 60 ফাইটার জেট পাঠিয়েছিল তুরস্কের বিরুদ্ধে।
এছাড়া তুরস্কের আফ্রিকান পলিসিতেও বড় প্রতিপক্ষ এমির্যাটস। সুদানে তুরস্ক বিরোধী প্রচার বা তিউনিশিয়া, আলজেরিয়া বা মালি প্রতি ক্ষেত্রেই তুরস্ক তার প্রতিপক্ষ হিসাবে আরব এমির্যাটসকে পেয়েছে।
এশিয়াতেও একই অবস্থান। এক কথায় সহজ করে বললে, তুরস্কের বিরুদ্ধে পৃথিবীর সব জায়গায় অর্থ ঢেলেছে আরব এমির্যাটস।
আরব এমির্যাটসের ফরেন পলিসি কি চেঞ্জ হবে?
মোটেও না। এমির্যাটস হচ্ছে ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং মুসলিম দেশগুলোর সবচেয়ে বড় শত্রু।
এরা সৌদি শাসকদের চেয়েও বেশি বিপদজনক ।
বাইডেন ক্ষমতায় আসায় আরবের কিছু দেশ চেষ্টা করছে নিজেদের একটু লিবারেল প্রমাণ করতে। কিন্তু এরা সুযোগ পেলেই এরা নিজেদের ক্ষমতা লোভী চেহারা প্রকাশ করবে।