কাতারের জনগণ মেইড ইন তুর্কী হ্যাস ট্যাগ আন্দোলন শুরু করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। উদ্দেশ্য আরবদের মধ্যে তুরস্কের তৈরি প্রডাক্ট জনপ্রিয় করা এবং সবাইকে ব্যবহার করতে উৎসাহিত করা। সুপার শপগুলোতে কাতারের ব্যবসায়ী তুর্কী প্রডাক্ট তুলে বড় বড় করে লিখে রাখছে এবং সবাইকে কিনতে আগ্রহী করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাতারের সক্রিয় এক্টিভিস্টরা এক্ষেত্রে অগ্রনী ভূমিকা রাখছে।
বিপরিতে সৌদি আরবে সরকারিভাবে তুরস্কের তৈরি প্রডাক্ট নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সাথে আরবের অন্যদেশও যেন তুরস্কের প্রডাক্টে বিধিনিষেধ আরোপ করে এজন্যে প্রচারণা চালাচ্ছে।
আমির্যাটস এক্ষেত্রে এক কাঠি সরস। এরা আল্লাহ দেওয়া তেলের টাকা দিয়ে মুসলিম দেশগুলো অস্থিতিশীল করছে এবং ক্ষতি করে যাচ্ছে।
এর বিপরতিতে কাতারের ভাইয়েরা তুরস্ক প্রডাক্টের প্রমোট করছে। মুসলিম ভাইদের বিপদে এরাই পাশে থাকছে।
আরবের দেশগুলো এখন ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার হিড়িক শুরু হয়েছে। আরব আমির্যাটস, এরপরে বাহরাইন সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে। ইহুদিদের সাথে ব্যবসা বাণিজ্য স্বাভাবিক করছে আর বিপরিততে মুসলিম দেশগুলোকে চাপে রাখছে।
ভারতের কাশ্মীরে মুসলিমদের নির্যাতনের পরে কখনো কি আপনি দেখেছেন, এই আরব শাসক- সৌদি/আমির্যাটস/ বাহরাইন/মিশর এরা ভারতের পণ্য নিষিদ্ধ করতে?
বা হুমকি দিতে যে মুসলিম নির্যাতন বন্ধ করতে?
ভারতের রেমিট্যান্সের টপ ১০ ট দেশের ৭টি মুসলিম দেশ। এই দেশগুলো এক হয়ে ভারতকে হুমকি দিলেই, ভারত কাশ্মীরে মুসলিম নির্যাতন বন্ধ করতে বাধ্য হত।
ফ্রান্স রাস্ট্রীয়ভাবে আমাদের রসূল (সা.) কে অপমান করতেছে। ব্যঙ্গ চিত্র একে প্রকাশ্যে দেখাচ্ছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এইসব কাজে উস্কানি দিচ্ছে। এখন পর্যন্ত দেখলাম না কোন মুসলিম দেশ কড়া কথায় ফ্রান্সকে কিছু বলল।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে দেখলাম প্রতিবাদ করতে।
অথচ এই ফ্রান্সের সাথে আমির্যাটসের বিন জায়েদ একজোট হয়ে তুরস্ক বিরোধী সব ষড়যন্ত্র করছে। সেটা লিবিয়া থেকে ভু-মধ্যসাগর বা সিরিয়া থেকে আজারবাইজান। সব জায়গায় ফ্রান্সের সঙ্গি আমির্যাটস।
হিসাব একদিন দিতেই হবে, সেই দিন চরম অপমানিত হতে হবে।