সৌদি সরকার আটকে পড়া বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে ২৪ দিন। এটা খুব পজিটিভ নিউজ। সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ।
সৌদি এয়ারলাইন্স হুট বাংলাদেশ থেকে যাত্রী পরিবহন বন্ধ করে দেয়। টিকেটের দাম ৪০-৪৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১.৫-১.৭৫ লক্ষ করেছে। এটা নিয়ে কয়েকদিন থেকে বাংলাদেশে আন্দোলন করতেছে শ্রমিকরা।
এখন কিছু বিমানের টিকিট দিচ্ছে একদিন পরের, কিন্তু করোনা টেস্ট রিপোর্ট ছাড়া বিমানে ওঠা যাবে না। এগুলো হচ্ছে আনঅসিফিয়ালি ব্যারিয়ার বা বাঁধা।
পাকিস্থানেও একই অবস্থা। একজন শ্রমিক আর কতই বেতন আর কতই পায়, সে যদি ৩৫ হাজারের টিকিট ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকায় কিনতে বাধ্য হয়, তাহলে সে পরিবারের জন্যে মাসে মাসে কি টাকা পাঠাতে পারবে?
১৯৭৩-৭৪ সালে সৌদি আরবের ঈমানদার বাদশা ফয়সাল (রহ.) ৫৪ হাজার রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়। বাদশা ফয়সাল (রহ.) এর মত ঈমানদার বাদশা মনে হয় সৌদ বংশে আর আসেন নি। উনি সব সময় উম্মাহর চিন্তা করতেছ, পাশে থাকতেন। আর আগামীর বাদশা MBS তো উনার উল্টা। ইহুদিদের সাথে গোলামীর জিঞ্জিরে আটকানো।
সৌদি আরব এখন বাংলাদেশকে চাপ দিচ্ছে এইসব রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট দেওয়ার জন্য। এই ৫৪ হাজার এখন ২.৫ লক্ষ হয়ে গিয়েছে। যদি বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট না দেয়, তাহলে সৌদি বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করে দিবে এবং সৌদিতে কাজ করা ২২-২৪ লক্ষ বাংলাদেশীকে দেশে পাঠাবে।
হঠাৎ সৌদি সরকার কেন বাংলাদেশকে এমন বেশি চাপ দিচ্ছে? উত্তর: বাংলাদেশ তুরস্কের সাথে সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করছে।
এছাড়া আর কোন কারণ দেখি না। আচ্ছা সৌদি কি ভারতকে কখনো এমম চাপ দিয়েছিল, কাশ্মীরে ভারত নির্যাতন বন্ধ না করলে ভারতের সব শ্রমিক ফেরত পাঠাবে বা তেল বিক্রি বন্ধ করে দিবে?
এখন বাংলাদেশ সরকারের উচিত টেকনিক্যালি এবং ধীরে ধীরে এই ফরেন পলিসি সেট করা। তাড়াহুড়া করলে বিপদ আসবে। ধাক্কা সামলাতে পারবে, কিন্তু কঠিন হবে সামলানো। অযোগ্যদের পেছন থেকে সরে আসা উচিত, অযোগ্য ও নীতিহীনরা ব্লাক মেইল করেই যাবে। বিপদে পালিয়ে যাবে।
বাংলাদেশের কিছু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও নীচু ও গোলামী মানসিকতার লোক আছে। এরা মনে করে- ‘সৌদি আরবের শাসক বাংলাদেশের শ্রমিক নিয়ে, এদের উপর অনেক করুণা করেছে, বাংলাদেশের এই ছোটলোকগুলো সৌদিতে কাজ করতেছে, এটা সৌদির শাসকের মহানুভবতা।’
তাদের কাছে প্রশ্ন, বাংলাদেশের ২২-২৪ লক্ষ শ্রমিককে সৌদি শাসক বসিয়ে বসিয়ে টাকা দেয়? না এরা পরিশ্রম করে টাকা পায়? রিজিকের মালিক অবশ্যই একমাত্র আল্লাহ, সৌদি শাসকের করুণার উপরে অবশ্যই না।