গতকাল (মঙ্গলবার) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের কঠোর সমালোচনার মুখে অধিবেশন ছাড়তে বাধ্য হয়েছে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত জিলাদ এরদান। আগের রেকর্ড করা এ বক্তব্যে এরদোয়ান ইসরাইলকে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে দখলদার, আগ্রাসী ও সন্ত্রাসী পলিসি গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেন।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন: ইসরাইলের নোংরা হাত জেরুজালেরমের পবিত্রতা ও গোপনীয়তা ধ্বংস করছে। তিনটি ধর্মের পবিত্র এ স্থানের দিকে ক্রমেই ইসরাইল হিংসাত্মক হয়ে ওঠছে। গত অর্ধ-শতাব্দী ধরে ফিলিস্তিনের জনতা ইসরাইলের নিপীড়ন, সহিংসতা ও ভয় দেখানোর নীতির দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ চালিয়ে আসছে। ‘শতাব্দীর চুক্তি’ নামে ফিলিস্তিনের উপর চাপিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা হয়েছিলো – এমন আত্মসমর্পণের দলিল প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর, ইসরাইেল এবার তার সহযোগীদের সহায়তায় ভ্রান্ত পলিসি বজায় রাখার চেষ্টা করছে। ফিলিস্তিনের সম্মতি ছাড়া কোনো ধরণের চুক্তিকে আমি সমর্থন করবো না। এ খেলায় এ অঞ্চলের কয়েকটি দেশের অংশগ্রহণ মানে, ইসরাইলের মৌলিক আন্তর্জাতিক প্যারামিটারগুলো ক্ষুণ্ন করার প্রয়াসের পরিবেশন ছাড়া আর কিছু নয়। যে দেশগুলো জেরুজালেমে দূতাবাস খুলতে চাচ্ছে, তারা জাতিসংঘের প্রস্তাবগুলো ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে কেবল তাদের কর্মের সাথে সংঘাতকে আরও জটিল করে তুলেছে। ১৯৬৭ সালের সীমান্ত চুক্তি মোতাবেক, একটি স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমেই কেবল এ সমস্যার সমাধান হতে পারে। এছাড়া, আর কোনো সমাধান খোঁজাটা নিরর্থক, একতরফা ও অন্যায়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের সাথে ইসরাইলের সম্পর্ক বৃদ্ধির এ পর্যায়ে এরদোয়ানের এ বক্তব্য নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।