তুরস্কের ওরুক রেইসকে ভূ-মধ্যসাগর থেকে সমুদ্র উপকূলে ফিরিয়ে নিয়েছে। এই ঘটনাকে কেউ কেউ প্রচার করছে গ্রিসের/ফ্রান্সের ভয়ে তুরস্ক লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেছে। তাদের উদ্দেশ্যে বলি, তুরস্কের যুদ্ধ জাহাজ কিন্তু এখনো ভূ-মধ্যসাগর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বস! তুরস্ক ও উত্তর তুর্কীস সাইপ্রাসের দুই দেশের মিলিটারি ব্যাপক মাত্রায় মহড়া মাত্র শেষ করলো।
বিষয়টা হচ্ছে, ওরুক রেইসকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের কাজে। তুরস্ক ১২ তারিখ পর্যন্ত যে নাভটেক্স ঘোষণা করেছিল, তা শেষেই মেরামতের জন্যে জাহাজ ফিরে এসেছে। ওরুক রেইস মেরামতের কাজে নিয়ে এসেছে এরদোয়ানের সুক্ষ্ম কূটনৈতিক চালে আরো একটা উদ্দেশ্য ফুলফিল করলো তুরস্ক। ন্যাটোকে আলোচনার একটা ফ্লোর দিলো।
এটা তুরস্ক একটু আলোচনার জন্যে স্পেস দিলো। এ মাসের শেষের দিকে ন্যাটোর হেড কোয়াটারে গ্রিস ও তুরস্কের ব্যাপারে আলোচনা হবে। ইইউ এর বৈঠকও হবে, এখানেও ভূ-মধ্যসাগরের বিষয়ে আলোচনা হবে। আলোচনার রেজাল্ট নিজের পক্ষে না গেলে তুরস্কের যুদ্ধ জাহাজ ও ওরুক রেইস আবারও ভূ-মধ্যসাগর দাপিয়ে বেড়বে।
তুরস্ক ও গ্রিসের ভূ-মধ্যসাগর নিয়ে এই উত্তেজনায় সবচেয়ে লাভবান কে হলো? উত্তর ফ্রান্স। ফ্রান্স কৌশলে গ্রিসের কাছে বিশাল টাকার অস্ত্র গছিয়ে দিয়েছে। ১৮ টা রাফায়েল ফাইটার জেট, ৪ টা ফ্রিগেট, ২৫-৩০ টা নেভাল হেলিকপ্টার, বিশাল পরিমাণ অস্ত্রের চালান এর মধ্যে আছে এন্টি ট্যাংক ওয়েপন্স, টর্পেডো, মিসাইল ইত্যাদি। কমপক্ষে ৮-১০ বিলিয়ন ডলার।
সবচেয়ে ক্ষতি হলো কার? আরব আমির্যাটসের। তিন নাম্বার বাচ্চার মত গ্রিসকে নিজের টাকায় কেনা বিমান, নিজের তেলে চালিয়ে গ্রিসকে দিয়েছে। এই আমির্যাটস লিবিয়াতেও ৩ নাম্বার বাচ্চার মত, বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার হাফতারের পেছনে ঢেলেছে, লাভের লাভ কিছুই হয়নি, পায়নি। ইয়েমেনেও একই অবস্থা। ধরা খেয়ে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে এসেছে।
এখন ইসরায়েলের বন্দনা করছে আমির্যাটস। আমির্যাটসপন্থীদের টুইটার দেখেন কীভাবে ইসরায়েলকে এরা তেল মারে আর প্রসংশা করে!
Feature Image Source: entertainmentoverdose.co.uk