আজ (বৃহস্পতিবার) কুয়েতে ফিলিস্তিনী রাষ্ট্রদূত রামি তাহবুবের সঙ্গে এক বৈঠকে কুয়েতের সংসদ স্পিকার মারজুক আল-গানিম বলেছেন: ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক না গড়ার নীতিতে তারা অটল থাকবেন। কুয়েত আন্তর্জাতিক ইশতেহার মোতাবেক, দু রাষ্ট্রভিত্তিক সরকার গঠনের নীতিতে বিশ্বাস করে। কুয়েত বায়তুল মুকাদ্দাসকে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী বলে মনে করে। দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার চুক্তি সইয়ের অনুষ্ঠানে কুয়েতের কোনো প্রতিনিধি অংশ নেয়নি।
চলতি মাসের পয়লা তারিখেও কুয়েত সাফ জানিয়ে দিয়েছিলো যে, তারা ইসরাইলকে তাদের আকাশ-সীমা কখনোই ব্যবহার করতে দেবে না।
তবে অনেকে ভেবেছিলেন যে, ইসরাইলের সঙ্গে কুয়েতের সম্পর্ক গড়ার যথেষ্ট কারণ বা সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা, এক সময় দেশছাড়া ফিলিস্তিনী জনগোষ্ঠীর একটি বিরাট অংশ কুয়েতে আশ্রয় নিয়েছিলো। কিন্তু ১৯৯০ সালের ২রা আগস্ট ইরাকের কমিউনিস্ট ভাবধারার একনায়ক সাদ্দাম হোসেন কুয়েত দখল করলে, তখনকার পিএলও নেতা ইয়াসির আরাফাত তা সমর্থন করেছিলেন! ফলে, ১৯৯১ সালে ২৫শে ফেব্রুয়ারী ইরাকের বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর অব্যাহত যুদ্ধে কুয়েত ইরাকী দখলমুক্ত হলে এবং ঐ বছর ১৫ই মার্চ কুয়েতের আমির দেশে ফিরলে, কুয়েত সরকার ফিলিস্তিনী শরণার্থীদেরকে আর তাদের দেশে থাকতে দেয়নি। অবশ্য ইয়াসির আরাফাতের যুক্তি ছিলো যে, ইসরাইলের ফিলিস্তিন দখল ইঙ্গ-মার্কিন চক্র সমর্থন করতে পারলে, তিনি সাদ্দামের কুয়েত দখলকে সমর্থন করতে পারবেন না কেন?
যাহোক, মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর দয়ায় কুয়েত স্বাধীনতা ফিরে পাওয়ায় এবং ইয়াসির আরাফাতের কুয়েতে ইরাকী আগ্রাসনকে সমর্থন জানানোর কারণে অনেকেই মনে করেছিলেন যে, এ ব্যাপারটাকে পুঁজি করে আমেরিকা হয়তো কুয়েতকে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে শেষ পর্যন্ত রাজি করাতে পারবে। কিন্তু কুয়েত এখনও তার নীতিতে অটলই রইলো।