মধ্য আফ্রিকার খৃষ্টান-প্রধান দেশ ডিআর কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় ইতুরি প্রদেশে এক হামলায় ৫৮ জন নিহত হয়েছে। এজন্যে ইসলামী মিলিশিয়াদের একটি গ্রুপ এডিএফ-কে দায়ী করা হচ্ছে।
প্রদেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আদজিও গিদি বৃহস্পতিবার বলেছেন: মঙ্গলবার ইতুরির দক্ষিণাঞ্চলীয় ইরুমু এলাকায় হামলায় ২৩ জন নিহত হয়। পরে বৃহস্পতিবার সেখানে আরো ৩৫ জন প্রাণ হারায়। হামলার ভয়ে বহু লোক তাদের ঘরবাড়ী ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এ হামলার জন্যে অ্যালায়েড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এডিএফ) দায়ী। উগান্ডার একটি মুসলিম বিদ্রোহী গ্রুপ হিসেবে ১৯৯০’র দশকে এটি গঠন করা হয়। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ইতোমধ্যে সেখানে পাঠানো হয়েছে এবং তারা শত্রুদের পাকড়াও করতে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।
গত নভেম্বরে নর্থ কিভু প্রদেশে সশস্ত্র বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে এডিএফের হাতে কয়েকশ’ বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে।
তিশাবি নামে পরিচিত গভীর বনভূমি এলাকায় সর্বশেষ এ হামলা চালানো হয়। তিশাবির নিয়ালি কমিউনিটির সদস্য রিচার্ড বলানগিলিয়াও বলেন: বন্দুকের গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এসব লোক নিহত হয়। এ হামলার ঘটনায় এখনো ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছে। তাদেরকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জোরালোভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এডিএফ হচ্ছে, একটি ইসলামী জিহাদী গ্রুপ – যারা মূলত অ্যালায়েড ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট, দ্য ন্যাশনাল আর্মি ফর দ্য লিবারেশন অব উগান্ডা (এনএএলইউ), দি উগান্ডা মুসলিম লিবারেশন আর্মি ও তাবলীগ জামাতের জিহাদী ভাবধারার সদস্যদের নিয়ে গঠিত। সংগঠনের মূল তিন নেতা উগান্ডার নাগরিক। তারা হলেন – নওমুসলিম জামিল মুকুলু, মূসা বালুকু ও দুসমন সাবুনী। এ গেরিলা গ্রুপটি ১৯৯৬ সাল থেকে সক্রিয় রয়েছে। আফ্রিকার যেসব দেশে মুসলমানরা সংখ্যালঘু – বিশেষ করে উগান্ডা, ডিআর কঙ্গো, এঙ্গোলা, মোজাম্বিক, রুয়ান্ডা, কেনিয়া ও তাঞ্জানিয়ায় এ মুজাহিদ সংগঠনটি তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
ওদিকে, কঙ্গোর সোনার খনি ধসে অন্তত ৫০ জন মারা যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। গতকাল (শুক্রবার) বিকাল ৩টায় দেশটির কিভু প্রদেশের কামিতুগা শহরে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
প্রদেশের গভর্নর থিও এনগবাবিজে কাসি জানান, ৫০ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খনিতে যুবকরা কাজ করছিলো।
কামিতুগার মেয়র আলেকজান্দ্র বুন্দা জানান, মুষলধারে বৃষ্টিপাতের কারণে খনি ধসে যায়। এ ঘটনায় তিনি দু দিনের শোক ঘোষণা করেছেন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মাটি থেকে লাশগুলো বের করতে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইনিশিয়েটিভ অব সাপোর্ট অ্যান্ড সোশ্যাল সুপারভিশন অব উমেন নামের এনজিওর প্রেসিডেন্ট এমিলিয়ান ইটংওয়া জানিয়েছেন, বেশ কয়েকজন শ্রমিক খনিতে কাজ করেছিলেন। খনি ধসে পড়ায় তারা সবাই মাটির নিচে চাপা পড়েন।