পূর্ব ভূমধ্যসাগরে খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান নিয়ে কয়েক মাস ধরেই গ্রীস ও তুরস্কের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আপাতত এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও যুদ্ধের বিউগল বাজতে শুরু করেছে। গ্রীস ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে ভূমধ্যসাগরে জঙ্গীজাহাজের মহড়া করেছে। আর তুরস্ক ঠেকিয়েছে গ্রীসের কয়েকটি জঙ্গীবিমানকে। তারা নেমেছে নৌশক্তি প্রদর্শনে। কাছেই অপেক্ষা করছে মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ।
ভূমধ্যসাগরে গ্রীস ও তুরস্ক নিজেদের বিমান, নৌযান ও সমরাস্ত্রের মেলা বসিয়েছে। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সামরিক মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। এ অবস্থায় ন্যাটো উত্তেজনা কমাতে দু দেশের মাঝে আলোচনার জন্যে উদ্যোগী হয়েছে। ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলেনবার্গ ঘোষণা করে দিয়েছিলেন: ‘দু দেশ টেকনিক্যাল আলোচনায় রাজি হয়েছে। আমি দু পক্ষের সঙ্গে সমানে যোগাযোগ করছি – যাতে সমাধান-সূত্র পাওয়া যায়। কিন্তু এ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই গ্রিক মুখপাত্র জানিয়ে দেন – ‘ন্যাটো প্রধানের বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তব অবস্থা মিলছে না। তুরস্ককে অবিলম্বে যাবতীয় জাহাজ ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তারপরই একমাত্র উত্তেজনা কমতে পারে।
তুরস্ক অবশ্য আলোচনা চাইছে। তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘তুরস্ক শর্তহীন আলোচনায় রাজি। এ আলোচনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় থেকে সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হতে পারে। জার্মানিও দু দেশের মাঝে আলোচনা চায়। জার্মান চ্যান্সেলার আঞ্জেলা ম্যার্কেল বৃহস্পতিবারও তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সাথে কথা বলেছেন। ম্যার্কেলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, দু নেতা আঞ্চলিক উত্তেজনা কমাবার ওপর জোর দিয়েছেন।
তবে পরিস্থিতি এতোটাই উত্তেজক যে, দু দেশের মাঝে সামরিক সংঘর্ষের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।