এক.
আপনি কি জানেন? পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি পারসেন্টেজের হিন্দু কান্ট্রি নেপাল। নেপালে ৮২% হিন্দু ধর্মালম্বীর বসবাস। কিন্তু নেপালের প্রায় ৭০-৮০% মানুষ ১০০ কোটি হিন্দুর দেশ ভারতকে ঘৃণা করে! নেপালনের রিসেন্ট ফরেন পলিসি সম্পর্কে যারা একটু আধটু খোজ-খবর রাখেন, তারা বলতে পারবেন নেপালের জনগণ ভারতকে কতটা ঘৃণা করে।
বছর দুই আগে পাকিস্থানের সেনাপ্রধান যখন নেপালের সেনাপ্রধানের সাথে সাক্ষাত করে, তখন নেপালের সেনাপ্রধান বলেছিলেন— ‘পাকিস্থানের সাথে আমার সামরিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে হবে।’ সেনাপ্রধানের এই বক্তব্য শুনেই নেপালের ফরেন পলিসি সম্পর্ক স্পষ্ট ধারণা পাওয়া গিয়েছিল। এখন তো নেপাল স্পষ্টভাবেই চীন ব্লকে চলে গিয়েছে।
দুই.
নেপালের মত হিন্দু দেশের ইন্ডিয়া হেটার্সের মত বাংলাদেশে ভারতের হেটার্স আরো বেশি। এটা প্রায় ৮৫-৯০%। পাকিস্তানের সাথে গোলাগুলিতে ভারতের সেনাবাহিনীর কেউ মারা গেলে বাংলাদেশের সোসাল মিডিয়া বা ডিফেন্স পেইজগুলোতে রিতিমত ঈদ ঈদ একটা আমেজ তৈরি হয়। কিংবা ক্রিকেটের মাঠে ভারতের পরাজয় মানেই বাংলাদেশে আনন্দ উল্লাসের একটা উপলক্ষ।দু’দিন আগে ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি মারা গেলেন। উনি বাঙালি ছিলেন, কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ থেকে নূন্যতম সিম্পেথিও পাচ্ছেন না। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সিস্টেমকে খোকলা করার অন্যতম কারিগর এই প্রণব মুখার্জি।
তিন.
উপমহাদেশে ভারতের প্রতি সাধারণ মানুষের এই ঘৃণার কারণ ভারতের ফরেন পলিসি। ভারতের ফরেন পলিসি হল, অন্যদের তারা গোলাম বানিয়ে রাখতে চায়। অন্য দেশের ফরেন পলিসি ভারত ঠিক করতে চায় মালিকের মত। ভারতের মত ছোটলোকি আর নীচু মানসিকতার দেশ খুজে পাওয়া কঠিন। এটা এই সভ্য সমাজে কেউ মানবে? এজন্যই উপমহাদেশে ভারত এখন একা নিঃসঙ্গ হয়ে যাচ্ছে। প্রতিবেশি কারো সাথেই ভারতের সম্পর্ক ভালো নেই। পাকিস্থান ও চীন তো ভারতের চির-শত্রু। এখন নেপাল, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্থানও ভারতের হাত থেকে ছুটে গিয়েছে।বাংলাদেশের সাথে ভারত গোলামের মত আচারণ করছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের কাছে থেকে ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছেন। এ রকম পরিস্থতি চলতে থাকলে বাংলাদেশও একটা সময় ভারতের হাত ছাড়া হয়ে যাবে।