করোনার প্রকোপের মাঝে শিনজিয়াং প্রদেশে বন্দীশালায় উইঘুর মুসলিমদের অজানা ওষুধ খাওয়াচ্ছে চীনা কর্তৃপক্ষ! সে সঙ্গে তাদেরকে জোর করে উলঙ্গ করে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে! বন্দী উইঘুর মুসলিমদের অভিযোগ – প্রতি সপ্তাহে তাদের শরীরে এমন জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়, যাতে মনে হয় – তাদের চামড়া খসে যাবে! সে সঙ্গে তাদের জোর করে অজানা ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে।
গতকাল (সোমবার) এপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা হিসেবে শিনজিয়াংয়ের কিছু বাসিন্দাকেও জোর করে চীনের ‘ট্র্যাডিশনাল’ ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে। যদিও এসব ওষুধ বৈজ্ঞানিকভাবে অসুস্থতার বিরুদ্ধে কার্যকর হিসাবে প্রমাণিত হয়নি।
বন্দীশালায় আটক এক নারী এপি’কে বলেন: ডজন খানেক উইঘুরের সঙ্গে তাকে একটি সেলে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে প্রতি সপ্তাহে গার্ডরা যখন জীবনুনাশক স্প্রে করে – তখন তাদের উলঙ্গ হতে হয়!
শিনজিয়াংয়ে করোনার ৮০০ এর বেশি রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে ৪৫ দিনের লকডাউন চলছে। চীনের যে কোনো অঞ্চলের তুলনায় এ অঞ্চলে লকডাউনে কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। অনেক বাসিন্দাকে জোর করে ‘ট্র্যাডিশনাল’ পানীয় ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে। অন্যদেরকে ঘরে বন্দী করে রাখা হচ্ছে। কোয়ারেন্টাইনে রাখতে বাধ্য করা হচ্ছে ৪০ দিনের বেশি সময়।
শিনজিয়াংয়ে সাদা বোতলে করে যেসব ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে, তা কী থেকে তৈরি – জানা যায়নি। উইঘুর মুসলিমদের ওপর এমন আচরণ ছাড়াও দেশটির সংখ্যালঘু ‘হান’ বাসিন্দাদের ওপরও চলছে চীন সরকারের এমন কার্যকলাপ। একজন হান নারী ১৮ই আগস্ট অনলাইনে পোস্ট করে বলেন: আমরা অসুস্থ না হওয়ার পরও কেন আমাদের জোর করে ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে?
এছাড়া, আরেক হান ব্যবসায়ী এপি’কে জানান যে, করোনা ভাইরাসের পাঁচবার নেগেটিভ ফলাফলা আসা সত্ত্বেও তিনি মধ্য জুলাইয়ের পর থেকে কোয়ারেন্টাইনে! কর্তৃপক্ষ বাইরে লোকদের বেশি চলাফেরা করতে দিচ্ছে না।