ব্রেকাপের আজ দুই সপ্তাহ হলো। সম্পর্ক ছিল ৬ মাসের। গত ছয় মাসে হয়তো এমন একটাও দিন ছিলোনা, যার পূর্ণ ২৪ ঘণ্টা আমি বাসায় কাটিয়েছি। আর এই দুই সুপ্তাহে এমন একটা একঘণ্টা নেই, যেটা আমি বাইরে কাটিয়েছি।এমন না যে, বাইরে যাওয়ার ইচ্ছা নেই। ইচ্ছা প্রচণ্ড। তবে, সাহস নেই। মা ভাবছেন ছেলে ভালো হয়ে গেছে। আল্লাহ তাঁর দোয়া কবুল করেছেন। ছেলে বুঝি এখন ঘরের মায়া বুঝেছে। ঘরে আছি এতেই মা বেজায় খুশি।তাই আগের মত কোন কাজও করান না। নিচে দোকান থেকে ডিম, বিস্কুট, এটা- ওটা এনে দেওয়ার ফরমাইশ করেন না। যখনই রুমে আসেন এক গাল হাঁসেন। এই দুই সপ্তাহে একটা নতুন ব্যাপার লক্ষ্য করলাম। মা-র হাসিটা না দারুণ চমৎকার! আগে কখনো দেখিনি। না, হয়তো দেখেছি, খেয়াল করিনি,অনুভব করিনি। সেই ছলনাময়ীর মেকি হাঁসিটা না দেখলে হয়তো মা-য়ের হাসির মায়াটা কখনোই বুঝতাম না। কেবল এই একটা কারণেই তাকে প্রচণ্ড ধন্যবাদ। তার নরকীয় পিশাচী হাঁসির বদলায় অন্তত একটা স্বর্গীয় হাঁসির সন্ধানতো পেলাম।
ঘরে থাকার তেমন অভ্যাস আমার নেই। দুনিয়ার সকল সুখের বদলায় হলেও, বন্য পাখি বুঝি খাঁচায় থাকতে চায়! আমিও মুক্ত হাওয়ায় শ্বাস নেওয়ার লোভে ছুটে আসি ছাদে। এখান থেকে প্রকৃতি দেখতে বেশ লাগে। কিন্তু, প্রকৃতির রূপ যেন আজ ভিন্ন। মধ্য দুপুরে সূর্যের ঝাঁঝাঁনো তাপও আজ গায়ে লাগছেনা। পাঁচ তলার ছাদে বাতাস একটু বেশিই থাকে। কিন্তু আজতো এমন যে, মন চাইছে এই বাতাসে গা ভাসিয়ে দিই। আকাশটা কত বিশাল! কত উঁচু! তবুও আমার পৃথিবীটা কেমন যেন ছোট ছোট হয়ে আসছে। মস্তিস্কে যেন কেবল ৬ মাসেরই স্মৃতি ভাসছে। স্বর্গীয় মনে করা প্রতিটি নরকীয় মুহূর্ত ছাড়া ভাববার যেন আর কিছুই নেই। একসাথে পথ চলা, ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক স্থানে বসে পুরো জীবনের ফিরিস্তি করে নেওয়া, বেশি কিছু না, ছোট্ট একটা চিলেকোঠায় জীবন কাটিয়ে দেওয়ার স্বপ্ন, রাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে কল্পনার রাজ্যে বিচরণ করা, আরো কত স্মৃতি! কত শপথ! না না, কত মিথ্যা শপথ! সব যেন একসেকেন্ডেই মনে পড়ে যাচ্ছে। আর অজান্তেই চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে জল অবিরত, একটানা, নিরন্তর।
আজ যেন বুঝতে পারছি, পৃথিবী কতটা কষ্টের! মানুষ কতটা নির্দয়া! জীবন কতটা যন্ত্রনার! এত কষ্ট, যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে থাকারইবা মানে কী? গৌতম বুদ্ধ ঠিকিই বলেছেন- মৃতুই সবচেয়ে সুন্দর। তাঁর রহস্যময় এই উক্তিটি কেউ বুঝুক আর নাই বা বুঝুক,মনে হচ্ছে যেন সেই রহস্যের ভেদ আজ আমারই সামনে উন্মোচিত হচ্ছে। বুঝতে একটুও কষ্ট হচ্ছে না যে, যন্ত্রণার এই পৃথিবীতে মৃত্যুতেই পরম শান্তি। যেখানে, যন্ত্রণা দেওয়ার কেউ নেই, মিথ্যা, ভণ্ডামির কিছুই নেই, আছে শুধু সত্য আর শান্তি। মৃত্যুর এই অমোঘ শক্তি সম্পর্কে কোন ধারণাই আমার এতদিন ছিল না। আজ যেন সেই অমোঘ শক্তিই আমাকে তার পুরো শক্তি দিয়ে নিজের দিকে টানছে। মৃত্যুর মাঝে লুকায়িত সত্য-শান্তি আজ চিৎকার করে ডাকছে আমায়। এই টানে, এমন আহ্বানে না গিয়ে কি থাকা যায়?
আগে পাঁচ তলা থেকে নিচে তাকালে দেখতাম মৃত্যু। বুকে ব্যাথা হত। ভয় পেতাম। আজও মৃত্যুকেই দেখছি৷ তবে, পরম শান্তিতে। চরম আনন্দে। সময় নেই সময় নষ্ট করার। মাত্র একটি লাফ।অমনি পৌঁছে যাবো চির শান্তির কোলে। মা হয়তো কষ্ট পাবে। কাঁদবে বুক ফাটিয়ে। বাবা আফসোস করবে। বন্ধুরাও কাঁদবে। আত্মিয়-স্বজন আসবে, দেখবে। কেউ বা আত্মহত্যা মনে করে আফসোস করবে। মহাপাপ করেছি বলে বলে ভর্ৎসনাও করবে। কেন? শান্তির খোঁজ করা বুঝি এতটাই পাপ! তাদের সুখ শান্তি তালাশের পদ্ধতি আর আমার পদ্ধতি ভিন্ন বলেই কি এমন আচরণ? পদ্ধতি না দেখে গন্তব্যের কথা ভাবো দেখি? মঞ্জিলতো একটাই। তাহলে ক্ষতির কী? আমি কাউকে মিথ্যাতো অন্তত বলছিনা। কারো সাথে করা কোন শপথ তো ভাঙছিনা। নিজের শান্তিটাইতো খুঁজছি৷ নিজের শান্তির খোঁজ করাটাই বুঝি এত বড় পাপ!
সাবধান! কেউ যেন আমাকে আবার ব্যর্থ প্রেমিকের তকমা দিয়ে না দেয়। জীবনে হেরে যাওয়া মানুষের সাথে তুলনা করে না বসে। আমি তো আমার শান্তির সন্ধানে সত্যের আহ্বানে এগিয়ে যাচ্ছি। আমি সত্যকে পেতে চলছি। বিদায় নিষ্ঠুর, নির্দয়া পৃথিবী! বিদায়!
কিসের শব্দ এটা! দূর থেকে এটা কিসের আওয়াজ! মাইকে কেউ কিছু বলছে। কী বলছে সে?…………. আচ্ছা, দরুদ পড়ছে। এখন আজান দিবে। দূরের মসজিদটাতে এভাবেই আজান শুরু হয়। আহ! মানুষটা কত মধুর স্বরে দরুদ পড়ে। মন বলছে, শেষবারের মত শুনেই যাই। আমাদের আশে পাশে চার কি পাঁচটা মসজিদ। একবার আজান শুরু হলে প্রায় দশ মিনিট তক চলে। অমনি শুরু হলো এলাকার মসজিদে আজান। হুট করে কানে এসে লাগলো ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি। কোমল কণ্ঠে করুণ সুরের ‘আল্লাহু আকবার’ধ্বনিটা পুরো হৃদয়কে কাপিয়ে ছাড়লো। পাঁ জমে আসলো। শরির স্থির হয়ে গেল। বেড়ে গেল মনের অস্থিরতা। বুঝে আসছেনা কিছুই। সে এভাবে ডাকছে কেন? অমনি আরেক মসজিদের মুয়াজ্জিনও দিল সেই একই আহ্বান। বুঝতে পারছিনা,আজান শুনে আমিই বা এত অস্থির হচ্ছি কেন? এটাতো তাঁদের প্রতিদিনের কাজ। নতুন কিছুতো না। না, আজকেরটা কেবলই আহ্বান বলে মনে হচ্ছেনা। মনে হচ্ছে যেন, এটা তাদের আর্তনাদ। তাদের ফরিয়াদ। ঠিক, আমি যেভাবে কাউকে সাহায্যের জন্য খুঁজছি, চিৎকার করে ডাকতে চাইছি, মুয়াজ্জিনরাও সেটাই করছে।
আজ কন্ঠে তাঁদের এত কষ্ট কিসের?
আল্লাহর কাছেই বা এত আকুতি কিসের?
কোন অসহায়ত্ব তাদের চেপে ধরে আছে?
তারা কি আমার চেয়েও বেশি একাকিত্ব অনুভব করছে?
তাদের খুইয়েছেই বা কী?
আজান যেন আজ চলছে দীর্ঘ সময় ধরে। মসজিদের সংখ্যাও আজ বেড়ে গেলো নাকি। আচ্ছা, মুয়াজ্জিন কি প্রতিদিন এভাবেই ডাকে? আজানের ধ্বনিগুলো বুঝি সবসময়ই এতটা করুণ? আহ! কি আকর্ষণ আজানের শব্দগুলোতে! আজকেই বুঝলাম, শব্দগুলোতে না চৌম্বকত্ব আছে। কি মনমুগ্ধকর আহ্বান! ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ, হাইয়া আলাল ফালাহ ‘। কাব্য নয়, তবুও যেন দারুণ কাব্যিক। ‘নামাযের দিকে এসো! কল্যাণের দিকে এসো!’পৃথিবীতে সবকিছুই পুরাতন হয়, একসময় পরিত্যাজ্যও হয়। কিন্তু এই শব্দগুলো, চির তরুণ, চির সতেজ। সেই কবে থেকে এভাবে ডেকেই চলেছে, নামাযের দিকে, কল্যাণের দিকে। আচ্ছা, কল্যাণ কি তাহলে নামাযের মাধ্যমেই আসে? কীভাবে সম্ভব! এই উঠা, বসা, সিজদার মধ্যে কিসের কল্যাণ?
অমনি বেজে উঠলো ফোনটা। মা কল করেছেন। তৃতীয় তলা থেকে মা সিঁড়ি বেয়ে ছাদে আসতে পারেন না। হাঁপিয়ে যান। তাই, এভাবেই ডেকে নেন। নিজের অজান্তেই কল রিসিভ করে ফেললাম। ফোন কানে তুলতেই প্রশ্ন- বাবা, কোথায়রে তুই?
-ছাদে, মা। কেন?
-ঠিক আছিস তো? হঠাৎ, বুকটা ব্যাথা করে উঠলো, তাই ফোন দিলাম। আজ ছাদে এতক্ষণ যে? কী করছিস? আজান হচ্ছে না! এই সময় ছাদে একা থাকতে নেই। নেমে আয়তো।
কণ্ঠে তাঁর এক অদ্ভুত আবদার। অদ্ভুত না, মায়াবী আবদার। মা’র এই ডাকটাতে হয়তো ভীষণ জোর ছিল।আর, নাকি আমার মনটাই দূর্বল হয়ে উঠেছিল? জানিনা। কোন এক অদৃশ্য শক্তির টানে নিচে চলে গেলাম। এটাকেই নাড়ীর টান বলে কিনা তাও জানিনা। যেটারই টান হোক। টানটা কিন্তু প্রচুর শক্তিশালী?
নিচে নামলাম। ঘরে ঢুকতেই মা-য়ের মুখে লৌকিকতাহীন সেই স্বর্গীয় হাসি। ছেলেকে চোখের সামনে দেখতে পাওটাই যেন তাঁর জন্য সবচাইতে আনন্দের। আহ! কি নিষ্পাপ হাসি। হাজারটা সুখের চেয়েও এই একটা হাসির পাল্লা অনেক ভারি। ভেতরে যেতেই চোখে পড়লো দেয়ালে টাঙানো একটা ওয়েলমেট। সেখানে আজানের শব্দগুলো লেখা, অর্থসহ। মা-কে কোন এক জন্মদিনে আমিই গিফট করেছিলাম। তাকিয়ে থাকলাম। চোখ আঁটকে গেল দুইটি বাক্যে। ‘নামাযের দিকে আসো, কল্যাণের দিকে আসো’। মনে হলো, কেউ যেন আমাকে সাহায্য করতে চাইছে। তাই বার বার আমাকে তাঁর পথেই ডাকছেন। আর বোঝাতে চাইছেন, তাঁরই পথে রেয়েছে যত কল্যাণ। আর তাঁর পথে যাওয়ার বিশেষ একটা মাধ্যম হলো নামায। তাই বার বার নামাযের দিকেই ডাকছেন। ডেকেই চলেছেন।
ওয়ালমেটটা দেখে অস্থিরতা আরো বেড়ে গেলো। এই ডাকে সাড়া দেওয়ার মনঃস্থ করলাম। অযু করে দাড়ালাম নামাযে। শুরু করলাম আল্লাহু আকবার বলে। অমনি মনে হলো যেন, অন্য কোথাও এসে পৌঁছেছি। কিন্তু অস্থিরতা রয়েই গেলো। ধীরে ধীরে মনে পড়তে লাগলো সব ব্যাথা। জীবিত হতে লাগলো সব ক্ষত। স্মৃতিরা এসে জমাট বাঁধতে লাগলো । আবার সেই ব্যাথা। উফ! কি অসহ্য যন্ত্রণা। সব দুঃখ-কষ্ট যেন মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়তে লাগলো চোয়াল ছুঁয়ে। লুটিয়ে পড়লাম সিজদায়। যেন, অসহায়, তৃষ্ণার্ত পথিক। পথ চলতে চলতে যার চলার শক্তি শেষ। হঠাৎ নদী পেলে সে যেভাবে ঝাপিয়ে পড়ে, গা মেলে ভাসতে থাকে নদীতে। ঠিক যেন সেভাবেই যন্ত্রণার বোঝাটা কোন এক পরম সাহায্যকারীর সামনে রেখে নিজেকে তাঁর কাছে সোপর্দ করে দিলাম। আর গা ভাসিয়ে দিয়ে বললাম- আমার সব কিছুই শেষ। এই যন্ত্রণা নিয়ে আর যে, বাঁচতে ইচ্ছে করেনা। হে পরম! একটু শান্তি দাও। সহ্য হয় না এই যন্ত্রণা। সাহায্য চাই প্রভু, সাহায্য কর। একটু আশ্রয় দাও।
নামায শেষ হল। প্রচণ্ড দূর্বল লাগছে। তবে, বোঝা নেমে গেলে যেমন লাগে, ঠিক তেমন স্বস্তিও লাগছে। জায়নামাযে বসে দেয়ালে পিঠ লাগিয়ে চোখ বন্ধ করে ভাবতে লাগলাম কিছুক্ষণ আগের অবস্থা। কী করতে যাচ্ছিলাম, আর এখন কী করছি? কোনটা ঠিক, কোনটা ভুল? এমন সময় কে যেন আসলো সামনে । মুখ অস্পষ্ট। তবে, চেনা মনে হচ্ছে। বুঝতে পারছি, আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছে। হেসে হেসে জিজ্ঞাস করলো- কিরে শান্তির খোঁজ পেয়েছিস এখন? পেয়েছিস সুখ?
-হ্যাঁ, পেলাম। তাহলে…..
-তাহলে কী?
– তাহলে, তখনের সব অনুভূতিই কি ভুল ছিল? মৃত্যু কি আসলেই পরম সত্য নয়? মৃত্যুই কি একমাত্র শান্তি না? আসলেই মৃত্যুই কি সবচেয়ে সুন্দর নয়? বুদ্ধা কি তবে মিথ্যা বলে গেলেন? তিনি কি তাহলে ভুল ছিলেন?
– না রে, সবগুলো অনুভূতিই মিথ্যা বা ভুল ছিলনা। মৃত্যু আসলেই পরম সত্য এবং সবচেয়ে সুন্দরও। বুদ্ধাও ঠিক বলেছেন। কিন্তু, তুই একটা কথা ভুলে গিয়েছিস। জানিস না, এই জীবন এক যুদ্ধক্ষেত্র? যুদ্ধ কি কখনো সহজ হয়? মৃত্যু বরণের জন্য যুদ্ধ করা হয় না। এখানে হতাশার কোন স্থান নেই। পরাজয় বরণ করার কোন সুযোগ নেই। ভীত হওয়ার উপায় নেই। এখানে বেঁচে থাকতে হয়। টিকে থাকতে হয়। কৌশলী হতে হয়। সাহস রাখতে হয়। পড়ে গেলে আবার উঠে দাড়াতে হয়। শত্রুর শেষ আঘাত পর্যন্ত যন্ত্রণা সহ্য করে যেতে হয়। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত বিজয়ের আশাকে বাঁচিয়ে রাখতে হয়। জীবন একটা যুদ্ধ ক্ষেত্র এখানে এভাবেই চলতে হবে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। বিজয়ের নেশায় যুদ্ধ করতে করতে করতে যখনই মৃত্যু আসে, তখনের মৃত্যুটাই পরম সত্য। সেই মৃত্যুতেই একমাত্র শান্তি। সেই মৃত্যুই সবচেয়ে সুন্দর। তাইতো, কুরআনে পাকে তাঁদের মৃত্য বলতে নিষেধ করা হয়েছে (২-১৪৫) । এখানে প্রতিটা ধাপে পরিক্ষা নেওয়া হবে। পরিক্ষা কখনোই সহজ এবং আরাম দায়ক হয় না। তবে, পুরষ্কার তারই জন্য যারা ধৈর্য ধারণ করে, টিকে থাকে (২-১৫৫)
কথাগুলো শুনে হতবাক হয়ে রইলাম। জিজ্ঞাস করলাম-কে তুমি?
সে আবারো মুচকি হাসতে লাগলো। জবাব দিলো-আমি?……… ‘মিথ্যা থেকে সত্যকে আলাদাকারী’।
-মানে?
“ফারুক। এই ফারুক। কিরে বাবা, জায়নামাযেই বসে ঘুমিয়ে গেলি? জলদি খেতে আয়“, মা’র আওয়াজ শুনে নড়ে চড়ে বসলাম। চোখ খুললাম। না না, জীবনের একটা নতুন অধ্যায় খুললাম। আজকের প্রতিটা মুহূর্ত ভিন্ন। একটু আগেই যেখানে অসহয়াত্ব এবং অস্থিরতার দাসত্বে বাঁধা পড়েছিলাম। সেখানে এই মুহূর্তে, যেন নির্ভীক, স্বাধীন আমি। এই নতুন স্বাধীনতা স্বাদ নিয়ে আবার লুটিয়ে পড়লাম সিজদায়। বললাম- আলহামদুলিল্লাহ। হে প্রভু, শুকরিয়া। নতুন জীবনের স্বাদ নিতে দেওয়ার জন্য। তোমার নিজ মহিমায় ডেকে সাহায্য করার জন্য। আজ তাই বাস্তবিক বিশ্বাস নিয়ে স্বাক্ষ্য দিচ্ছি, তুমিই সবচেয়ে উত্তম সাহায্যকারী।
প্রিয় পাঠক, ‘দিন রাত্রি’তে লিখতে পারেন আপনিও! লেখা পাঠান এই লিংকে ক্লিক করে- ‘দিনরাত্রি’তে আপনিও লিখুন