মঙ্গলবার সিরিয়ার দেইর আয-যোর প্রদেশে রাস্তার পাশে পেতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে রুশ একজন মেজর জেনারেল নিহত ও দু সেনা জখম হয়েছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেইর আয-যোরের প্রাদেশিক রাজধানী শহরের কাছে মানবিক ত্রাণ কার্যক্রম শেষে ঘাঁটিতে ফেরার পথে রুশ সামরিক বহর বিস্ফোরণের কবলে পড়লে, রুশ ৩ সেনা জখম হন। পরে মেজর জেনারেল মারা যান। এ বোমা হামলার ঘটনায় রাশিয়া একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং ক্রিমিনাল কেস দায়ের করেছে। এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদেরকে ছাড় দেয়া হবে না। কেননা, এটি রাশিয়ার ইজ্জতের প্রশ্ন।
সিরিয়ার দেইর আয-যোর প্রদেশে দায়েশ সক্রিয় রয়েছে এবং রাশিয়া গত মাসে সেখানকার পরিস্থিতির অবনতি সম্পর্কে হুঁশিয়ারী দিয়েছিলো।
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে রাশিয়া সিরিয়ায় গেরিলাদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা শুরু করে এবং এ পর্যন্ত ১২০ জন রুশ সেনা খতম হয়েছে।
এদিকে, ঐ একই প্রদেশে একই দিনে একটি তেলক্ষেত্রের কাছে মার্কিন ঘাঁটিতে কয়েকটি রকেট আঘাত হেনেছে।
রকেট হামলায় সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি পরিষ্কার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কামিশলি শহরের কাছে একটি চেক পয়েন্টে মার্কিন হেলিকপ্টার থেকে হামলা চালিয়ে একজন সিরীয় সেনা হত্যা এবং দুজনকে আহত করার একদিন পর, মার্কিন ঘাঁটিতে রকেট হামলার ঘটনা ঘটলো।
গত বছরের অক্টোবর থেকে আমেরিকা সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকার তেলক্ষেত্রগুলোতে নতুন করে সেনা মোতায়েন করেছে। এসব তেলক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণ করে থাকে মূলত কুর্দি ভাড়াটে গেরিলারা। মার্কিন সেনারা তাদেরকে বরাবর সমর্থন দিয়ে আসছে।
২০১১ সালে সিরিয়ায় বিদেশী মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব শুরুর পর থেকে আমেরিকা আর্ন্তজাতিক জোটের নামের সিরিয়ায় নিজেদের সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। তবে সিরিয়ার সরকার সদা বলে আসছে – দামেস্কের অনুমতি ছাড়া এভাবে সেনা মোতায়েন সম্পূর্ণভাবে বেআইনি ও অবৈধ। মার্কিন সেনাদেরকে দখলদার হিসেবে বিবেচনা করে থাকে সিরীয় সরকার।
ওদিকে, সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে আকাশে মার্কিন দুটি ড্রোন নিজেদের মাঝে সংঘর্ষে বিধ্বস্ত হয়েছে।
‘মিলিটারি টাইমস’ এ দেয়া বক্তব্যে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন: গতকাল (মঙ্গলবার) এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রগুলো বলছ – বিধ্বস্ত দুটি ড্রোনের অন্তত একটি ‘এমকিউ-নাইন রিপার’ মডেলের। এটি সাধারণত হামলার কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে পর্যবেক্ষণ ও গোয়েন্দা তৎপরতা চালানোর সক্ষমতাও রয়েছে এ ড্রোনের।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, পরস্পরের সংঘর্ষে ড্রোন দুটিতে আগুন ধরে যায় এবং পরে সেগুলো ভূপাতিত হয়।
সূত্র: পার্সটুডে, সানা ও মিলিটারী টাইমস।
পছন্দের আরো লেখা