করোনা পরিস্থিতিতে সীমান্ত বন্ধ থাকার পাশাপাশি সাম্প্রতিক বন্যায় তীব্র খাবার সংকটে ভুগছেন উত্তর কোরীয়রা। তবে এ সংকটময় পরিস্থিতিতেও প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের স্বৈরাচারী সিদ্ধান্তের শিকার হচ্ছেন তারা। সম্প্রতি তিনি তার দেশবাসীকে পোষা কুকুর জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন ।
জানা গেছে, পোষা কুকুর রয়েছে – এমন বাড়ীগুলোকে ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছে উঃ কোরিয়া কর্তৃপক্ষ। এখন জোর করে মালিকের কাছ থেকে তার কুকুরকে ছিনিয়ে নেয়া হচ্ছে। বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে কুকুরের মালিকানা। জব্দ করে মালিকদেরকে একটি সার্টিফিকেট দেয়া হচ্ছে – যা দিয়ে তারা আগামী ১০ই অক্টোবর তেল ও চাল সংগ্রহ করতে পারবেন। জব্দ করা কিছু কুকুরকে চিড়িয়াখানায় বন্দী করা হচ্ছে। বাকিগুলোকে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে রেস্তোরাঁয়।
উঃ কোরিয়ার অভিজাত শ্রেণীর লোকেরাই কুকুর পুষে থাকেন। জুলাইয়ে কিম জং উন বলেছেন: বাড়ীতে কুকুর লালন-পালন করা এখন আইনবিরোধী কাজ। বাড়ীিতে কুকুর পোষা বুর্জোয়া আদর্শদের কলঙ্কিত ধারা।
সম্প্রতি জাতিসংঘের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ৬০% বাসিন্দাই ব্যাপক খাবার সংকটে আছে। চলতি মাসের বন্যায় প্রায় ১০ লাখ একর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ১৭ হাজার ঘরবাড়ী।
সূত্র: টাইমস নাউ