দিনটি ছিলো ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়, লুৎফর রহমান এবং সায়েরা খাতুনের কোল জুড়ে আসে এক শিশু। নাম রাখা হলো মুজিবুর রহমান। কে জানতো এই শিশুটিই হবে স্বাধীনতার স্বপ্ন পুরুষ! এই বালক কখনো থেমে থাকেননি, জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত কে কাজে লাগিয়েছেন। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর স্বপ্ন নিরন্তর বয়ে বেড়াতেন। ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, শোষণমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার কাজে জীবনের শেষ মুহূর্তটি বিলিয়ে দিয়েছেন স্বদেশের মানুষের জন্য। তিনি ছিলেন প্রকৃত বাঙালি। চলনে-বলনে, চিন্তায়-মননে ছিলেন বাঙালি। তাঁর শিকড় ছিল প্রোথিত এ দেশের গ্রামীণ সমাজে। তিনি ছিলেন মাটি ও মানুষের কাছাকাছি। তাইতো তিনি— ‘বঙ্গবন্ধু’।
রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সকলের জানা।আজ বলবো যুদ্ধবিধ্বস্ত অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের গল্প। যুদ্ধের সফল সমাপ্তির পর বঙ্গবন্ধু ফিরে আসেন বিজয়ীর বেশে। অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম এতো সহজ ছিলোনা। শ্মশান বাংলাকে সোনার বাংলায় রূপান্তর করার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অবিচল। ৮ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। সঞ্চয় ছিল জিডিপির ৩%। বিনিয়োগ জিডিপির 9%। বৈদেশিক রিজার্ভ ছিলো শূন্য। অবশ্য পরিশ্রমের সুফল তিনি দেখে যেতে পারেননি। শেষ করছি।
বঙ্গবন্ধুর ৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি তে সাধারণ মানুষের কথা বলতে গিয়ে বলেছেন—
করাপশন আমার বাংলার কৃষক করে না, করাপশন আমার বাংলার মজদুর করে না।
করাপশন করি আমরা, শিক্ষিত সমাজ,যারা তাদের টাকা দিয়ে লেখাপড়া করেছি।’
ক্লান্ত না লাগলে পড়তে পারেন, বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করা কবিতাটি—
জাতির জনক গড়ে দিল দেশ
সাহস দিয়েছে মনে,
মায়ের ভাষায় কথা বলে
সবে অশ্রু চোখের কোণে।
জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ
বাংলা মায়ের ভাষা,
এই ভাষাতেই কথা বলে
আজ গরিব দুঃখী চাষা।
মায়ের ভাষায় কথা বলে
সদা তৃপ্তি পাওয়া যায়,
মনের গভীরে আছে যত ব্যাথা
সবই প্রকাশ পায়।
যার ত্যাগে আজ পেয়েছি বাংলা
বলছি মায়ের ভাষা,
বঙ্গবন্ধু তোমার আমার
সবার মনের আশা।
ধরার বুকে এঁকে দিলে তুমি
বাংলাদেশের ছবি,
গুণহীন মম গুনবান তুমি
তোমার মাঝেই সবি।
সাত মার্চের বজ্র কণ্ঠে
ফের ডেকে যাও শুনি,
কন্যা তোমার স্বপ্ন পূরণ
করবে এবার জানি।