ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ে পরের প্রজন্ম যাতে স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে না পারে সেজন্য বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে কয়েক দশক ধরে মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালানো হয়েছিল। শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জীবনের এক তৃতীয়াংশ সময় কারাগারে কাটিয়েছিলেন। সেই মহান নেতাকে সপরিবারে হত্যা করে নির্বংশ করার ষড়যন্ত্র যারা করেছিল পরে রাষ্ট্রীয়ভাবে জনগণের টাকায় তাদেরকে বিদেশি গুরুত্বপূর্ণ মিশনে নিযুক্ত করা হয়েছিল।
মন্ত্রী আজ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর সত্যপ্রসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ আলোচনা সভায় যুক্ত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর যে সমস্ত সহচর ষড়যন্ত্রকারীদের কোনো রকমের প্রলোভনের ফাঁদে পা দেননি তাদের ওপর চালানো হয়েছিল নিষ্ঠুর নির্যাতন। সেনাবাহিনীকে মুক্তিযোদ্ধা শূন্য করার জন্য সামরিক ট্রাইব্যুনালের নামে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছিল। পরবর্তী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য জয় বাংলা ও বঙ্গবন্ধুকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু কারিগরি ও প্রকৌশল শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি তাই শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় আইনে স্বায়ত্তশাসন দিয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, জনগণের অর্থে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে একটি এলিট ইনস্টিটিউশন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সফল অংশীদার হতে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান।
এম এ খায়ের
জনসংযোগ কর্মকর্তা
শিক্ষা মন্ত্রনালয়