ইসরাইলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কূটনৈতিক প্রক্রিয়া শুরুর প্রতিক্রিয়ায় মুসলিম জাহানে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও এ নিয়ে এখনও নীরব সৌদি আরব ও সৌদী আরবের নেতৃত্বাধীন আরব লীগ।
উপসাগরীয় দেশগুলোর মাঝে মিশরই প্রথম চুক্তিটি সরাসরি সমর্থন করে। এরপর বাহরাইন ও ওমানও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে অভিনন্দন জানিয়েছে। অন্যদিকে, ফিলিস্তিন, তুরস্ক, ইরানসহ বিশ্বের অনেক দেশ ইসরাইলের সঙ্গে এমন কূটনৈতিক সম্পর্কের নিন্দা জানিয়েছে।
আরব আমিরাতের অন্যতম মিত্র সৌদি আরব এ চুক্তির বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি। এছাড়া, আরব লীগের তরফ থেকেও নিন্দা বা প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। বিষয়টি নিয়ে কার্যত নীরব রয়েছে তারা। প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারি জেনারেল সায়েব এরাকাত বলেছেন: এমন চুক্তির নিন্দা না জানিয়ে কোনো বিবৃতি না দিলে, আরব লীগের সেক্রেটারি জেনারেল আহমেদ আবুল গাইতের পদত্যাগ করা উচিত।
মুসলমানদের প্রথম কিবলার দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে আরব আমিরাতের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পদক্ষেপ শতাব্দীর কথিত সেরা চুক্তি নামক পরিকল্পনারই অংশ বলে বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেছেন।
ইসরাইল আশা করছে – আরও আরব দেশ শিগগিরই আমিরাতের মতো পদক্ষেপ নেবে এবং বাহরাইন হবে এক্ষেত্রে দ্বিতীয় দেশ।
ওদিকে, আমিরাত-ইসরাইল চুক্তি মুসলিম জাহানে বিভক্তি ডেকে আনবে বলে মন্তব্য করেছেন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মুহম্মদ। গতকাল (শুক্রবার) দিস উইক ম্যাগাজিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন: এ চুক্তি মুসলিম জাহানকে বিভক্ত করবে এবং লড়াইয়ের মুখোমুখি করে তুলবে এবং ইসরাইলের আগুনেই তেল ঢালবে। এ চুক্তির ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো একে অপরের সঙ্গে লড়াই করতে ক্ষমতা বাড়াবে। মুসলিম দেশগুলোর মাঝে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট হবে। এ চুক্তি ইসরাইলের অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করবে এবং ফিলিস্তিন তাদের অধীন হবে। তখন ফিলিস্তিনী এবং যারা তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল – তারা অবশ্যই প্রতিক্রিয়া দেখাবে। এর অর্থ হলো, মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ আরো দীর্ঘায়িত হবে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি ও
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।