ভূমধ্যসাগরে বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে তেল ও গ্যাসের খনিকে কেন্দ্র করে তুরস্ক-গ্রীসের মাঝে উত্তেজনার সুযোগ নিয়ে ফ্রান্স সেখানে সামরিক উপস্থিতি জোরদার করছে।
বৃহস্পতিবার ফরাসী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ঐ অঞ্চলে সামরিক শক্তি বাড়ানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নৌবাহিনীর একটি রণতরী ‘লাফায়েট’ ও দুটি রাফায়েল জঙ্গীবিমান মোতায়েন করা হবে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোন পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলকে ‘উদ্বেগ অঞ্চ’ল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এছাড়া, তুরস্ককে তার ‘একতরফা’ প্রত্যাশা বন্ধ এবং প্রতিবেশী ন্যাটো সদস্যদের মাঝে শান্তিপূর্ণ সংলাপের অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার এক টুইটে তিনি বলেন: গ্রীসসহ ইউরোপীয় অংশীদারদের সহযোগিতায় আমি আগামী দিনগুলোতে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে অস্থায়ীভাবে ফরাসী সামরিক উপস্থিতি আরও শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বৃহস্পতিবার ফরাসী সামরিক বাহিনী গ্রীক সেনাদের সঙ্গে দক্ষিণের দ্বীপ ক্রেট থেকে প্রশিক্ষণ মহড়া চালিয়েছে। গ্রীক প্রতিরক্ষা সূত্র ইমানুয়েল ম্যাক্রোনের সমর্থনের বিষয়টি জানিয়েছে।
ফরাসী প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে গ্রিক প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস ফরাসী ভাষায় টুইটে লেখেন: ইমানুয়েল ম্যাক্রোন গ্রীসের সত্যিকারের বন্ধু এবং ইউরোপীয় মূল্যবোধ ও আন্তর্জাতিক আইনের আবেগপূর্ণ সমর্থক।
এর আগে গত সপ্তাহে লিবিয়ায় তুরস্কের প্রতিপক্ষ মিশরের সঙ্গে গ্রীস সহযোগিতা চুক্তি হওয়ার পর, দৃশ্যপট বদলে যায়। এরপর ‘তথাকথিত সমুদ্রচুক্তি’ কার্যকারিতা হারিয়েছে বলে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়ে দেয়।
গ্রীসের দুটি দ্বীপের কাছে দু’দিনব্যাপী নৌ মহড়া চালিয়ে তুরস্ক মূলত এ সিগন্যাল দিয়েছে যে, মিশর-গ্রীস সমুদ্র চুক্তি আঙ্কারা মানবে না।
সম্প্রতি পূর্ব ভূমধ্যসাগরে মিশর ও সাইপ্রাস বড় জ্বালানি খনির সন্ধান পেয়েছে। এরপরই তুরস্ক সেখানে প্রাকৃতিক সম্পদের খোঁজ পেতে অতিমাত্রায় তৎপর হয়ে উঠে।
সূত্র: আল জাজিরা ও রয়টার্স।