মহানবী মুহাম্মদকে (সল্লাল্লাহুতা’লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিয়ে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ পোস্ট দেয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে ভারতের বেঙ্গালুরু শহর। উত্তেজিত জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ৩ জন নিহত ও শতাধিক গ্রেফতার হয়েছেন। শহরজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার সকালে। একটি বিতর্কিত ফেসবুক পোস্ট করেন ভারতের কংগ্রেস বিধায়ক শ্রীনিবাস মূর্তির ভাতিজা। পুলিশ এ বিষয়ে অভিযোগ নিতে চায়নি বলে দাবি অনেকের। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে সহিংস হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। রাতে বিধায়কের বাড়ীর সামনে উত্তেজিত জনতা ভিড় জমায় এবং ঐ বাড়ী লক্ষ্য করে ইট, পাথর ও কাচের বোতল ছুঁড়তে শুরু করে। পার্কিং থাকা একটি গাড়ীতেও আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। এরপর স্থানীয় একটি থানায় ভাঙচুর চালায় তারা। তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়ে গুলি চালায় পুলিশ। এতে ৩ জনের মৃত্যু এবং কয়েকজন আহত হন। প্রায় ৬০ জন পুলিশও আহত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বিক্ষোভকারীরা অন্তত ২৪টি গাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। থানায় রাখা ২০০টি মোটরসাইকেলও পুড়িয়ে দিয়েছে তারা।
ব্যাঙ্গালুরু পুলিশের যুগ্ম কমিশানার (ক্রাইম) সন্দীপ পাটেল জানিয়েছেন, কংগ্রেস বিধায়কের অভিযুক্ত ভাতিজাসহ সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ১১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্যাঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার কামাল পান্ত জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়া ডিজি হাল্লি ও কেজি হাল্লিতে আগামীকাল সকাল পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। শহরের বাকি অংশে বড় ধরনের গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসবরাজ বোমাই বলেন: ঘটনার তদন্ত চলছে। হিংসা ও ভাঙচুর বরদাস্ত করা হবে না। যারা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতার ভাগ্নের দাবি – উনি ফেসবুকে আপত্তিকর ঐ পোস্ট করেননি। তার ফেসবুক আইডি হ্যাক করে অন্য কেউ এ কাজ করেছে। যদিও পরে পোস্টটি ডিলিট করে দেয়া হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি,
নিউজ১৮ ও বিবিসি।
পছন্দের আরো লেখা