উত্তর আফ্রিকার মুসলিমপ্রধান দেশ বুরকিনা ফাসোর (সাবেক নাম আপারভোল্টা) একটি পশুর হাটে অজানা বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
তবে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় ঐ গ্রামটিতে হামলার দায় এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি। ঘাতকদের ধরতে সেনাবাহিনী তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।
ঐ অঞ্চলের গভর্নর কর্নেল সাইদো সানো শুক্রবার বলেছেন: ফাদা এন’গোরমা অঞ্চলের নামোনগো গ্রামের পশুর হাটে আচমকা সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালায় অজানা সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা। এতে প্রাথমিকভাবে ২০ জন নিহত এবং বহু হতাহত হয়েছেন।
এর আগে মেতে কোম্পিয়েনগার পূর্বাঞ্চলের এক গ্রামের পশুর হাটে হামলা চালিয়ে ২৫ জনকে হত্যা করে বন্দুকধারীরা।
২০১৭ সাল থেকে আল-কায়েদা ও আইএসআইএলের সঙ্গে সম্পৃক্ত সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়াই করছে বুরকিনা ফাসোর ফরাসী মদদপুষ্ট খৃষ্টান সরকারের সঙ্গে। দেশটির জনসংখ্যার ৬০.৫% মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী উভয়ই খৃষ্টান! সশস্ত্র মুসলিম গোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে বুরকিনা ফাসোর দুর্বল সামরিক বাহিনীকে সহায়তা করতে সেখানে রয়েছে ৫ হাজার ফরাসী সেনা, অর্থাৎ দেশটি মুসলিমপ্রধান হওয়া সত্ত্বেও ফ্রান্স জোর করে সেখানে খৃষ্টান সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়ে রেখেছে। দেশটি আগে ফরাসী উপনিবেশ ছিলো; ১৯৬০ সালের ৫ই আগস্ট স্বাধীনতা লাভ করে।
গত পাঁচ বছরে ৯০০ বেশি লোক সশস্ত্র সংগঠনগুলোর হাতে মারা গেছে এবং ৮ লাখ ৬০ হাজারের মতো লোক বাড়ীঘর ছেড়ে পালিয়েছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত বছর বুরকিনা ফাসো, মালি ও নাইজারের ৪ হাজার মানুষ গেরিলা হামলায় নিহত হয়েছেন।
সূত্র: আল-জাজিরা, সিনহুয়া ও অন্যান্য।
পছন্দের আরো লেখা