নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি দাবি করেছেন – রামের জন্ম ভারতের অযোধ্যায় নয়, বরং নেপালের চিতওয়ানের মাদি পৌরসভা এলাকার অযোধ্যাপুরীতে। এ পৌরসভার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সেখানে রামের মূর্তি নির্মাণের আদেশ দিয়েছেন তিনি। এছাড়া, প্রতিনিধিদের পরামর্শ দেন – অযোধ্যাপুরীতে যে রামের জন্ম, তা প্রচার করতে।
গতকাল (শনিবার) মাদি পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান শিবহরি সুবেদির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন নেপালী প্রধানমন্ত্রী। এদিন তিনি মাদি পৌরসভার মেয়র ঠাকুর প্রসাদ দাকালসহ সেখান থেকে আসা একটি প্রতিনিধির সঙ্গে ২ ঘণ্টা ধরে বৈঠকও করেন।
সুবেদি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন – ‘ভারতের উত্তর প্রদেশে রামের জন্ম নয়, বরং নেপালের অযোধ্যাপুরীতে রামের জন্ম। আমার কাছে যেসব প্রমাণ আছে, সেগুলো নির্দেশ করে যে, নেপালের অযোধ্যাপুরীতেই রামের জন্ম হয়েছে।’ আমরাও বিশ্বাস করি চিতওয়ানের অযোধ্যাপুরী থেকে পারসার থরি এলাকার বাল্মিকি আশ্রমে রামের জন্ম হয়েছে।
ন্যাশনাল এসেম্বলির সদস্য দিল কুমার রাওয়াল জানান, প্রধানমন্ত্রী অযোধ্যাপুরীর আশেপাশের এলাকা সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিনিধি দলকে প্রধানমন্ত্রী আরও প্রমাণ সংগ্রহের জন্যে খনন শুরু করতে বলেছেন।
অযোধ্যাপুরীকে ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার ভূমি প্রদান করবে বলে জানিয়েছেন নেপালি প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া রাম, লক্ষ্মণ ও সীতার মূর্তি স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
প্রতিনিধি দলের তরফ থেকে নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে বলা হয়েছে, তারা মাদি পৌরসভার নাম বদলে অযোধ্যাপুরী রাখার চেষ্টা করবেন। এতে করে স্থানটির ধর্মীয় গুরুত্ব বাড়বে।
ওদিকে, হিন্দুস্তান টাইমস নেপালী প্রধানমন্ত্রীর ঐ দাবিকে হাস্যকর বলেছে।
সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরই মাঝে নেপালী প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে সমালোচিত হন তিনি।
এর আগে অযোধ্যাকে নিজেদের ভূমি বলে দাবি করেছিলো নেপালি সরকার। ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, বিরোধীদের চাপের মুখেই সেই দাবি থেকে সরে এসে এমন মন্তব্য করছেন ওলি।
সূত্র: দ্য হিমালয়া টাইমস ও হিন্দুস্তান টাইমস।