নামাজ থেকে আসিয়া হুজুর কোরবাণীর হুকুম দিলেন। ময়মনসিংহের সৈয়দ শরফুদ্দীন হাবীব একটি গরু পাঠাইয়াছিলেন। মুরিদদের কেউ কেউ খাসী দিয়াছিলেন। সব জবেহ্ হইল। হুজুর কাহাকেও গোশত দেন না। পাক করাইয়া একসাথে সবাইকে খাওয়াইয়া দেন। পাকের মশলার অভাবে অনেক গরীব গোশত বিক্রয় করিয়া দেয়। অথবা কোন রকম সিদ্ধ করিয়া খায়। তাই হুজুর খিচুড়ী ও গোশত খাওয়ান।
হুজুরের বাড়িতে একটা কুকুর থাকিত। এক টুকরা ভাল গোশত কুকুরটাকে নিজেই খাইতে দিলেন। বলিলেন, নাড়ি-ভুড়ি তো খাবেই। কিন্তু কোরবানীর গোশতের হিস্যা হিসাবে এইটা।
দুপুরে হাজার হাজার লোকের জমায়েত হইল। সবার হাতে কলাপাতা। দশের হাতে শীগগীর পাকও হইয়া গেল। গরু খাসী যাহা পাক হইল সবই খাওয়ানো হইল। আমরাও কিছু খাইতে পাইলাম বটে।
রাত্রে অবিশ্বাস্য হইলে সত্য- হুজুর ও আমরা ডাল ভর্তায় ভাত খাইলাম। খাইতে বসিয়া হুজুর বলিলেন, একটা ভুল হইয়া গেল রে। বাবুর মার (স্ত্রী) লাগি আমাদের কোরবানীর তরকারি তো রাখা হইল না। তারপর নিজেই বললেন, ঠিক আছে, কাল নানান জায়গা তনে (থেকে) তো তরকারি আসবই।
তাঁহার ঈদ, ১৯৭৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সাপ্তাহিক হক কথায় প্রকাশিত।