মাহবুব কবির মিলন স্যার বাংলাদেশের সরকারের কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন সৎ, আদর্শবান, মেধাবী, চৌকষ, নির্লোভ, ধার্মিক এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনাধারী অফিসার। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে তাঁর সামর্থের সবটুকু এই অভাগা জাতিকে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। বিনিময়ে সরকারের ভেতরে থাকা হুতুম পেঁচারা তাঁকে ওএসডি করেছেন। আমি সর্বান্তঃকরণে তাঁর প্রতি এই অবিচারের নিন্দা করি। সেই সাথে তাকে সসম্মানে পদোন্নতি দিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে বা অন্য কোন দুর্নীতিগ্রস্ত বিভাগে পদায়নের জোর দাবি জানাই।
মাহবুব কবির স্যারের ফেসবুক থেকে সংগ্রিহিত
সরকারি চাকুরি সূত্রে মাহবুব কবির মিলন স্যার যেখানেই পোস্টিং হয়েছেন, সেখানেই আলো ছড়িয়েছেন। তাঁর বিভাগের দুর্নীতি দূর করেছেন। তিনি যখন খাদ্য বিভাগে ছিলেন- সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন, তখনই। তিনি ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্য বিক্রি, প্রস্তুতকরণ এবং আমদানি রোধকল্পে কঠোর আইন প্রণয়নে সহযোগিতাসহ নিরাপদ খাদ্যবান্ধব নানা নীতিমালা তৈরি করছেন। সরেজমিনে তদারকি করে ভেজাল খাদ্য প্রস্তুতকারী ও বিক্রেতাদের জরিমানা করে নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি সরকারি কোষাগারও সমৃদ্ধ করেছেন। কিন্তু খাদ্য আমদানি ও ব্যবসার সাথে জড়িত রাঘব-বোয়ালরা তদ্বির করে তাঁকে বদলি করিয়েছেন বাংলাদেশের বড়ো আরেকটি দুর্নীতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠান রেল বিভাগে। বদলি হয়েই তিনি দুর্নীতির মূল জায়গায় হাত দেন। টিকেট কালোবাজারি রোধ করেন, অব্যবস্থাপনা দূর করেন এবং মাত্র কয়েক মাসেই সরকারি সম্পদ রক্ষায় ও উন্নয়নে ব্যাপক ভুমিকা রাখেন।
বাংলাদেশ রেলওয়েতে এই প্রথম একসাথে ২০ হাজারেরও অধিক পোস্টে নিয়োগ দানের বিষয়টি চূড়ান্ত করেন। ২০ হাজার পোস্টে নিয়োগ মানে হাজার কোটি টাকার অবৈধ বাণিজ্য তিনি একাই তাঁর সহকর্মীদের নিয়ে রোধ করতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ ছিলেন। কিন্তু এতে সরকারের ভেতর লুকিয়ে থাকা ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও তাদের পৃষ্ঠপোষক কমিশন খাওয়া রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের ঘুম হারাম হয়ে যায়। তারা মনে করেছেন, একজন মাহবুব কবির মিলন থাকলেই তাদের হাজার কোটি টাকার অবৈধ বাণিজ্য হাতছাড়া হয়ে যাবে। তাই তারা ষড়যন্ত্র করে মাহবুব কবির মিলন স্যারের মতো সরকারের এই সৎ, সাহসী ও মেধাবী অফিসারকে ওএসডি করে দেন।
এ ক্ষণে বাংলদেশের অভাগা জনগণের পক্ষ থেকে আমি মিলন স্যারের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাই। আমি কামনা করি- দেশ ও জাতির কল্যাণে তাঁর প্রচেষ্টা সরকারের অন্যান্য অফিসারদের জন্য প্রেরণা হয়ে ওঠুক। দল-মত নির্বিশেষে সবার প্রিয় মিলন স্যারের সাফল্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। এক মিলনের ত্যাগে ও আদর্শে লাখো মিলন গড়ে ওঠুক- মহান মুক্তিযুদ্ধের রক্তস্নাত আমাদের প্রিয় মাতৃভুমি লাল-সবুজের এই বাংলাদেশে। শুধু কথায় আর বাগাড়ম্বরে নয়, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা, দেশপ্রেম এবং জনমানুষের কল্যাণে আমাদের বাংলাদেশ সফল ও সমৃদ্ধ হোক।
তারিখ: ০৬ আগস্ট, ২০২০ খৃ.
আবুধাবি, ইউ.এ.ই।