এরথুরুল বেইম চরিত্রে ইঞ্জিন আলতান দোজায়াতান এবং হালিমা সুলতানা চরিত্রে এসরা বিলগিজ; Image Source: pinterest.com/pin/780459810396994546/
কায়অ (কাই) বসতি; Image Source: deviantart.com
শেখ মুহীউদ্দীন ইবনুল আরাবীর (’আলাইহির রহমাহ) চরিত্রে অভিনয়কারী উছমান শওকত; Image Source: showbizhut.com
সিজন ১-এ প্রদর্শিত কিছু সংস্কৃতি ভালো লেগেছে৷ যেমন,(১) কারও সাথে চোখে চোখ পড়লে, ছেলেদের ক্ষেত্রে বুকে হাত দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে মুচকি হেসে মাথা অল্প নিচু করে অভ্যর্থনা জানানো। এর ব্যতিক্রম হলে, ধরে নিতে হবে, কেউ রেগে আছে বা অন্য কোনো সমস্যা আছে।(২) “আল্লাহ চিরঞ্জীব, আল্লাহই সত্য” বলে তরবারী প্রস্তুত এবং শত্রুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়া।(৩) নিজেদের ক্ষমতায়নের পরিপন্থী একজন মুসলিম হলেও, তাদের মৃত্যু কার্যকর বা নিশ্চিত করাকে প্রয়োজন মনে করা৷(৪) কবর যিয়ারত করে এবং মৃতের রূহের প্রতি ফাতিহা পেশ করা।(৫) যে কোনো দোয়ায় আল-ফাতিহা পড়াকে বাঞ্চনীয় মনে করা। এর অর্থ হচ্ছে, আপনারা সবাই একবার করে সূরা ফাতিহা পড়ে নিন।
(১) সাদা দাড়িওয়ালাদের সাথে এ সিজনেই (ভলিউম ২৬) এরথুরুলের সাক্ষাৎ ও আলোচনা হয়ে গিয়েছে। ফলে, এরথুরুল আরও সাহস পেয়েছেন এবং জেনেছেন যে, তিনি একা নন। সাথে, পরবর্তী দিক-নির্দেশনাও পেয়েছেন।(২) ইবনে আরাবীর আদেশে, নাইট গ্লডিয়াসের ইসলামে দীক্ষিত হয়ে ওমর নাম ধারণ করে, মুসলিমদের গুপ্তচর হিসেবে নাইটদের দুর্গে কাজ করাটা সাহসী ও বুদ্ধিদীপ্ত ছিলো, যদিও তাকে ধূর্ত তিতুস চিনে ফেলে এবং শহীদ করে।(৩) বাংলায় প্রতিনিধি থমাসের কথা বলার ধরণে হাসি পেয়েছে।(৪) শেষ ভলিউমে তিতুসের গর্দান নেয়াটাও আকাঙ্ক্ষিত ছিলো।(৫) এছাড়া, যে সেলজান হাতুন সবসময় কূটচাল চালতে ব্যস্ত থাকতো, শায়্যিখ ইবনে আরাবীর সুপরামর্শে তার সুবুদ্ধির উদয় হওয়াতে শেষে কিছু উপকার তার দ্বারা সাধিত হয়েছে। একটি কথা না বললেই নয়, এ সিজনের চরিত্রগুলোর মাঝে সবচেয়ে সুদর্শন ছিলেন তুর্গুত আল্পের চরিত্রে অভিনয়কারী জেঙিয জোশখুন।
(১) ১১ নং ভলিউমে দেখিয়েছে, এরথুরুল এবং গুন্দোওদু জঙলে বসে, বাম হাতে খাওয়া-দাওয়া করছে!(২) ১৬ নং ভলিউমে দেখিয়েছে, জুম’আর নামাজে ইমামের আগেই কয়েকজন সিজদায় চলে গিয়েছে!(৩) ২৬ নং ভলিউমে এ দেখিয়েছে, আফশিন বে স্বশরীরে ক্যারাভান সারাতে সোলামান শাহ, এরতুরুল এবং অন্যান্যদের স্বাগত জানালেও পরে একজনকে জিজ্ঞেস করে, “এরতুরুল এসে গিয়েছে?”(৪) এছাড়া, ২১ নং ভলিউমে তিতুস, প্রধান উযীর পেত্রিসিওকে জানায়, সুলতান আলাউদ্দীনের গাড়িবহর থেকে মালিকাকে অপহরণ করে এবতালিয়ার সাথে একজন খাস রক্ষীসহ একটি গুহায় রাখা হয়। পরে তিতুস ওদেরকে নিয়ে দুর্গে ফিরে যাওয়ার কথা। কিন্তু পরে সুলেমান শাহকে জানানো হয়, ঐ বিয়ে সফলভাবেই হয়েছে। মাঝে কীভাবে মালিকা মুক্তি পেলেন। আইয়ুবী সেনাদের আক্রমণে নাকি অন্যকোনোভাবে, তা অস্পষ্ট ছিলো।