ভারতের মসজিদ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমীন (মিম) প্রধান ও সাংসদ ব্যারিস্টার আসাদুদ্দীন ওয়াইসি আজ (বুধবার) সকালে এক টুইটে বলেছেন: “বাবরী মসজিদ ছিলো, আছে ও থাকবে ইন শা আল্লাহ্।” পাশাপাশি তিনি ‘বাবরী জিন্দা হ্যায়’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে বাবরী মসজিদ এবং বাবরী মসজিদ ধ্বংসের একটি করে ছবিও শেয়ার করেছেন।
ওয়াইসি এর আগে বলেছিলেন: আমরা ভুলতে পারি না যে, অযোধ্যায় ৪০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাবরী মসজিদ ছিলো এবং ১৯৯২ সালে অপরাধী জনতা তাকে ধ্বংস করেছিলো.
গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে ওয়াইসি বলেন: বাবরী মসজিদ ছিলো এবং তা সদা মসজিদই থাকবে। আমরা নয়া প্রজন্মকে বলবো – আমাদের মসজিদকে ধ্বংস করা হয়েছিলো। ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর কি বাবরী মসজিদ ধ্বংস করা হয়নি? ইতিহাস স্মরণ রাখবে যে, ১৯৪৯ সালের ২২/২৩শে ডিসেম্বর মধ্যরাতে কী হয়েছিলো – যখন মসজিদে প্রতিমা রেখে দেয়া হয়েছিলো। এরপরে ১৯৯২ সালে সেটি ধ্বংস করা হয়।
ওয়াইসি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমিপুজো ও ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণের বিরোধিতা করে বলেন: তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সেখানে গেলে, তাতে দেশের সংবিধানের মূলভিত্তি – ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ রক্ষার শর্ত ভঙ্গ হবে।
ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় কয়েকশো বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদ ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর প্রকাশ্য দিবালোকে বিজেপি নেতাদের প্ররোচনায় ‘করসেবক’ নামধারী উগ্র হিন্দুত্ববাদী জনতা ধ্বংস করে দেয়। তাদের দাবি – এটি ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের জন্মস্থান।
ঐ ইস্যুতে দীর্ঘকাল ধরে আদালতে আইনি লড়াইয়ের পরে গত বছর নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট একটি ট্রাস্ট গঠন করতে বলে এবং ট্রাস্টের মাধ্যমে বিতর্কিত ঐ জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেয়। এ ব্যাপারে আদালতে মুসলিমদের দাবি খারিজ হয়ে যায়। এরপরেই বহুলালোচিত রাম মন্দির নির্মাণের পথ প্রশস্ত হয়।
এদিকে আজ বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাম মন্দির চত্বরে পৌঁছে মোদি পারিজাত শাখা রোপন করেন। মন্দিরের ভিত্তিতে রূপোর ইট স্থাপন করেন তিনি। সকালে তাকে অযোধ্যায়া স্বাগত জানান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
সূত্র: পার্সটুডে ও জি নিউজ