ভারত সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের বর্ষপূর্তির আগেই কাশ্মীর ও জুনাগড়কে অন্তর্ভুক্ত করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে পাকিস্তান।
গতকাল (মঙ্গলবার) পাকিস্তানের মন্ত্রীসভার বৈঠকে কাশ্মীরকে অন্তর্ভুক্ত করে নতুন মানচিত্রটির অনুমোদন দেয়া হয়। এখন থেকে এটিই পাকিস্তানের মানচিত্র হিসেবে বিবেচিত হবে বলে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছেন।
৩৭০ ধারা বিলুপ্তির বর্ষপূর্তির ঠিক আগের দিন ইমরান খানের এ সিদ্ধান্ত বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
মন্ত্রীসভার বৈঠকের পর, সাংবাদিক সম্মেলনে ইমরান খান বলেন: এটি পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে ঐতিহাসিক দিন। এই প্রথমবার ভারত অধিকৃত কাশ্মীরকে পাকিস্তানের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে পাকিস্তানের সব রাজনৈতিক দলের এতে সায় রয়েছে। এটি ভারত সরকারের গত বছরে নেয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদও। খুব শিগগিরই এটি জাতিসংঘে উত্থাপন করা হবে।
এর প্রতিক্রিয়ায় পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশী দেশবাসীকে খোশ আমদেদ জানিয়ে বলেন: অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর মাধ্যমে প্রথমবার বিশ্বের কাছে পাকিস্তানের অবস্থান স্পষ্ট করে বলা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে এখনও সরকারীভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ভারত। তবে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র নতুন এ মানচিত্রের মাধ্যমে পাকিস্তান ভুল স্বপ্ন দেখছে বলে জানিয়েছে।
২০১৯ সালের ৫ই আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫-ক অনুচ্ছেদ দুটি বাতিল করে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে, ভারতের অন্য রাজ্যের বাসিন্দাদের কাশ্মীরে সম্পত্তি কেনার ওপর বিধি-নিষেধ উঠে যায়। পাশাপাশি অন্য রাজ্যে বসবাসরত ভারতীয়দের কাশ্মীরে সরকারি চাকরি পাওয়া কিংবা কাশ্মীরে স্থায়ীভাবে বসবাসের বিধিনিষেধও বাতিল হয়ে যায়।
নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার শপথ নেয় মুসলিম-অধ্যুষিত কাশ্মীরের মুক্তিযোদ্ধারা।
এদিকে, কাশ্মীরকে নিজেদের অংশ দাবি করে পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ জানিয়েছে।
সূত্র: ডন, জিয়ো নিউজ ও হিন্দুস্তান টাইমস।