1. zobairahmed461@gmail.com : Zobair : Zobair Ahammad
  2. adrienne.edmonds@banknews.online : adrienneedmonds :
  3. annette.farber@ukbanksnews.club : annettefarber :
  4. camelliaubq5zu@mail.com : arnider :
  5. patsymillington@hidebox.org : bennystenhouse :
  6. steeseejep2235@inbox.ru : bobbye34t0314102 :
  7. nikitakars7j@myrambler.ru : carljac :
  8. celina_marchant44@ukbanksnews.club : celinamarchant5 :
  9. sk.sehd.gn.l7@gmail.com : charitygrattan :
  10. clarencecremor@mvn.warboardplace.com : clarencef96 :
  11. dawnyoh@sengined.com : dawnyoh :
  12. oralia@b.thailandmovers.com : debraboucicault :
  13. chebotarenko.2022@mail.ru : dorastrode5 :
  14. lawanasummerall120@yahoo.com : eltonvonstieglit :
  15. tonsomotoconni401@yahoo.com : fmajeff171888 :
  16. anneliese@a.skincareproductoffers.com : gabrielladavisso :
  17. gennieleija62@awer.blastzane.com : gennieleija6 :
  18. judileta@partcafe.com : gildastirling98 :
  19. katharinafaithfull9919@hidebox.org : isabellhollins :
  20. padsveva3337@bk.ru : janidqm31288238 :
  21. alec@c.razore100.fans : kay18k8921906557 :
  22. michaovdm8@mail.com : latmar :
  23. malinde@b.roofvent.xyz : lauranadeau097 :
  24. adorne@g.makeup.blue : madie2307391724 :
  25. mahmudCBF@gmail.com : Mahmudul Hasan : Mahmudul Hasan
  26. marti_vaughan@banknews.live : martivaughan6 :
  27. crawkewanombtradven749@yahoo.com : marvinv379457 :
  28. deirexerivesubt571@yahoo.com : meridithlefebvre :
  29. ivan.ivanovnewwww@gmail.com : ninetuabtoo :
  30. lecatalitocktec961@yahoo.com : normanposey6 :
  31. guscervantes@hidebox.org : ophelia62h :
  32. clint@g.1000welectricscooter.com : orvilleweigel :
  33. margarite@i.shavers.skin : pilargouin7 :
  34. gracielafitzgibbon5270@hidebox.org : princelithgow52 :
  35. randi-blythe78@mobile-ru.info : randiblythe :
  36. lyssa@g.makeup.blue : rochellchabrilla :
  37. berrygaffney@hidebox.org : rose25e8563833 :
  38. incolanona1190@mail.ru : sibyl83l32 :
  39. pennylcdgh@mail.com : siribret :
  40. ulkahsamewheel@beach-drontistmeda.sa.com : ulkahsamewheel :
  41. harmony@bestdrones.store : velmap38871998 :
  42. karleengjkla@mail.com : weibad :
  43. whitfeed@sengined.com : whitfeed :
  44. basil@b.roofvent.xyz : williemae8041 :
  45. arnoldpeter933@yahoo.com : wilsonroach486 :
  46. dhhbew0zt@esiix.com : wpuser_nugeaqouzxup :
ইতিহাসের পাতা উল্টে দেখা যাক - কোন পথে আজ রামমন্দির প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে (১৮৮৫- ২০২০)
সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩, ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন

ইতিহাসের পাতা উল্টে দেখা যাক – কোন পথে আজ রামমন্দির প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে (১৮৮৫- ২০২০)

সাইফুল ইসলাম রুবাইয়াৎ
  • আপডেট সময় : বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০২০
  • ৫৪৯ বার পড়া হয়েছে

করোনা আবহে কিছুটা অস্বস্তি তো রয়েছেই। তাই বলে ম্লান হওয়ার কোনো জায়গা নেই বুধবারের রাম মন্দিরের ভূমিপুজো অনুষ্ঠানের। ১৩৪ বছরের ইতিহাস বিজড়িত। রাম মন্দিরের ভিত্তি স্থাপনের আগে ইতিহাসের পাতা উল্টে দেখা যাক – কোন পথে আজ রামমন্দির প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে।

 

১৮৮৫

বিতর্কের শুরুটা কিন্তু বহু আগে। তখন মোহন্ত রঘুবীর দাস নামে অযোধ্যার এক পুরোহিত ও রামায়ণ বিশেষজ্ঞ প্রথম মামলাটি করেন। ফৈজাবাদ কোর্টে মামলা করে তিনি জানান, বাবরী মসজিদের চত্বরের বাইরের চাবুতারায় (উঁচু বাঁধানো স্থান) রামচন্দ্রের জন্মস্থান। ইতিহাসের লম্বা গতিপথে সেখানে মোগল আক্রমণের সময়ে মসজিদ গড়ে উঠলেও আসলে এখানে মন্দির ছিলো এক সময়ে। সেই স্থানটিতে তারা মন্দির তৈরি করতে চান। কিন্তু তৎকালীন সেক্রেটারি অব স্টেট (লর্ড উডহাউজ) সেটি বাতিল করে দিয়েছেন। তাই, তিনি তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। যদিও তখন বিশেষ এগোয়নি মামলা।

 

১৯৪৯-৫০

তখনই মূলত তুঙ্গে ওঠে বিতর্ক। ১৯৪৯ সালের ২২শে ডিসেম্বর মধ্যরাতে বাবরী মসজিদ চত্বরের সেই বিতর্কিত স্থান থেকেই মেলে একটি পুরোনো রামমূর্তি। এমনিতেই দেশভাগ, অন্তর্বর্তী সরকার ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে তুমুল সাম্প্রদায়িকতার ঝড় চলছিলো তখন। আর তাতে যেনো অনুঘটক হয়ে দাঁড়ায় এ ঘটনা। বিভিন্ন স্থানের হিন্দু রামভক্তরা এখানে মন্দির তৈরির দাবি করতে থাকেন। অন্যদিকে, মুসলমানরা তার প্রতিবাদে সরব হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে গোটা চত্বরটা সিল করে ‘বিতর্কিত ভূমি’ হিসাবে চিহ্নিত করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন।

 

১৯৫০

১৯৫০ সালে ১৬ই জানুয়ারী মন্দির পক্ষের নেতা গোপাল সিং বিশারদ ফৈজাবাদ কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। বাবরী মসজিদ সংলগ্ন যে স্থানটিতে মূর্তিটি উদ্ধার হয়েছে – সেখানে পুজোপাঠের অধিকার চাওয়া হয়। আর সেই সঙ্গে মূর্তিটি যেখান থেকে পাওয়া গিয়েছে, সেখান থেকে যাতে সরানো না হয়, তার নির্দেশিকা দাবি করেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে সাময়িকভাবে জন্মস্থান থেকে মূর্তি সরানো যাবে না বলে নির্দেশ জারি করে ফৈজাবাদ আদালত। এলাহাবাদ আদালতেও তার পক্ষেই সায় দেয়া হয়।

এরপর ঐ বছরেরই এপ্রিলে উত্তরপ্রদেশের গোবিন্দবল্লভ পন্ট শাসিত কংগ্রেস সরকার আদালতের এ ইঞ্জাকশান তুলতে মামলা করেন। অন্যদিকে, ১৯৫০ সালের ডিসেম্বরে বিতর্কিত স্থানে পুজোপাঠ চলতে থাকার অনুমতি চেয়ে মামলা করেন রাম জন্মভূমি মন্দির ট্রাস্টের প্রধান পরমহংস রামচন্দ্র দাস। এ ট্রাস্ট আবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সঙ্গে যুক্ত ছিলো। যদিও তিনি নিজেই আবার মামলা তুলে নেন!

 

১৯৫৯-৬১

 

১৯৫৯ সালের ডিসেম্বরে অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের প্রধান নির্মোহী আখড়া একটি মামলা করেন। সেখানে তিনি নিজেকে জন্মভূমির আসল মালিক বলে দাবি করেন।

এদিকে (আইন হচ্ছে) ১২ বছর ধরে কোনো জমি, সম্পত্তি অনধিকৃত ও বিতর্কিত হিসাবে গণ্য হলে, এর আদি মালিকদের আর মালিকানা থাকে না। ফলে, চিন্তিত হয়ে পড়েন উত্তরপ্রদেশের সুন্নী সেন্ট্রাল বোর্ড অব ওয়াকিফ-এর সদস্যরা। তাই, জমির দাবি বজায় রাখতে ১৯৬১ সালের ১৮ই ডিসেম্বর ১২ বছর হওয়ার মাত্র কয়েকদিন আগেই নড়েচড়ে বসেন তাঁরা। অযোধ্যার মুসলিম বাসিন্দাদের ডেকে এনে সকলে মিলে বিতর্কিত চত্বরটির দখল নেন। সেখানেই তাঁরা প্রতিবাদ এবং মূর্তি সরানোর দাবি করতে থাকেন।

১৯৮৬

 

এ বছরের ১লা ফেব্রুয়ারী হিন্দু পুজার্থীদের জন্যে খুলে দিতে হবে জমির প্রবেশপথ – আদালতের এ রায়ের প্রতিবাদে গঠিত হয় বাবরী মসজিদ অ্যাকশান কমিটি।

 

১৯৮৯

ভিএইচপি-র সহ-সভাপতি এবং এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি দেবকীনন্দন আগড়ওয়ালা এরপর আসরে নামেন। তিনি এ বছর ১লা জুলাই এলাহাবাদ আদালতের লক্ষ্ণৌ বেঞ্চে মামলা করেন। সেখানে তিনি বলেন: ১৫২৫ সালে মুঘল সাম্রাজ্যের স্থপতি ভারত আক্রমণ করেন। ১৫২৮ সালে বাবরের হানায় ধ্বংস হয় রাম মন্দির। এরপর সেখানেই তৈরি হয় বাবরী মসজিদ। এর প্রমাণ হিসাবে ১৯২৮ সালের ফাজিয়াবাদের জেলা গেজেটে প্রদত্ত একাধিক তথ্য তুলে ধরেন তিনি। এরপর ১৪ই অগস্ট জমিটিতে যেভাবে পুজো চলছে, তা চালু রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।

এর পরেই রাজীব গান্ধী শাসিত কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় সরকার ভিএইচপি-কে রাম মন্দিরের শিলান্যাসের অনুমতি দেয়। রাম মন্দিরের প্রথম ইঁটটি স্থাপন করা হয়।

১৯৯২
বিতর্কিত জমির ভবনটি এ সালের ৬ই ডিসেম্বর ভেঙে ফেলা হয়। শুরু হয় তুমুল বিতর্ক ও অশান্তি। প্রতিবাদ ও পাল্টা প্রতিবাদে জ্বলতে থাকে অযোধ্যা। কেন এমনটা ঘটলো – তার তদারকি করতে বিচারপতি লিবেরহ্যানের অধীনে তৈরী হল বিশেষ কমিটি। রিপোর্ট দিতে বেঁধে দেয়া হলো ৩ মাসের সময়সীমা। এ সময়ে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে জারি হলো রাষ্ট্রপতি শাসন। ভেঙে দেয়া হয় কল্যাণ সিং শাসিত বিজেপি সরকার

 

১৯৯৩

এ সময়ে কেন্দ্রে ক্ষমতায় কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমারাও অযোধ্যার বিশেষ জমি অধিগ্রহণ অ্যাক্ট পাশ করেন। এর মাধ্যমে বিতর্কিত জমিটি সরকারি সম্পত্তি হয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে পিটিশন জমা করেন ইসমাইল ফারূকীসহ মসজিদপন্থী নেতৃত্ববৃন্দ।

 

১৯৯৪

“ইসলাম ধর্ম পালনের জন্যে মসজিদ অত্যাবশ্যক নয়। বিশ্বের যে কোনো স্থানে, এমনকি খোলা মাঠেই চাইলে নামাজ পড়া যায়” মর্মে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বলা হয়, “তাই রাষ্ট্রের এ জমি অধিগ্রহণ করা সংবিধানবিরুদ্ধ নয়।” ফলে, ৬৭.৭ একরের মাঝে ২.৭৭ একরের বিতর্কিত জমিটুকু অধিগ্রহণ করে সরকার।

১৯৯৬

এলাহাবাদ আদালতে এ মামলার বিভিন্ন সাক্ষীদের মৌখিক বিবৃতি নেয়া শুরু হয়।

২০০২-০৫

এলাহাবাদ হাইকোর্টে শুরু হয় শুনানি। বিতর্কিত স্থানে হিন্দুদের দাবিমাফিক আগে মন্দির ছিলো কিনা, তা খুঁড়ে দেখে যাচাইয়ের ভার দেয়া হয় আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে। ২০০৩ সালে জুনে খনন শুরুর পরেই হিন্দুদের দাবিকে সমর্থন জানায় আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার প্রত্নতত্ত্ববিদরা। তারা জানান, সেখানে মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের প্রমাণ পেয়েছেন বিতর্কিত জমি খনন করে।

আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের রিপোর্টকে মিথ্যা বলে ঘোষণা করেন মসজিদ পক্ষ। ঐ বছরেই উপ-প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবাণীসহ ৭ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। ক্রমেই বাড়তে থাকে অশান্তি। পরিস্থিতি সামাল দিতে মার্চে বিতর্কিত জমিতে সকল ধর্মীয় কার্যকলাপ বন্ধের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

২০০৯

প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর কাছে রিপোর্ট পেশ করে লিবেরহান কমিশন।

২০১০

৩০শে সেপ্টেম্বরের রায়ে, বিতর্কিত জমিকে তিন ভাগে ভাগ করে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। একটি দেয়া হল সুন্নি ওয়াকিফ বোর্ডকে। একটি নির্মোহী আখড়াকে। অন্যটি রামলাল্লার দলকে। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা ও সুন্নী ওয়াকিফ বোর্ড।

২০১১

হাইকোর্টের সুরেই রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বর্তমান অবস্থাই জারি থাকবে – জানানো হয়।

২০১৬

২৬শে ফেব্রুয়ারী বিজেপির লোকসভার মন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যন স্বামী বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির করার অনুমোদন চান।

২০১৯

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করেন। তৈরি হয় মধ্যস্থতাকারী প্যানেল। কিন্তু মধ্যস্থতার প্রচেষ্টার ব্যর্থতার পর, ৬ই আগস্ট থেকে শুরু হয় দৈনিক শুনানি।

৯ই নভেম্বর ২০১৯

রামজন্মভূমি কেসে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। জানানো হয় – হিন্দুরা তাদের জন্যে দেয়া জমিতে মন্দির করতে পারবে। অন্যদিকে, অযোধ্যাতেই একটি মসজিদ তৈরির জন্যে ৫ একর জমি প্রদান করা হয় মুসলিমদের জন্যে।

৫ই আগস্ট ২০২০

রাম মন্দিরের ভূমিপুজো।

 

সূত্র: জি নিউজ।

 

 


প্রিয় পাঠক, ‘দিন রাত্রি’তে লিখতে পারেন আপনিও! লেখা পাঠান এই লিংকে ক্লিক করে- ‘দিনরাত্রি’তে আপনিও লিখুন

লেখাটি শেয়ার করুন 

এই বিভাগের আরো লেখা

Useful Links

Thanks

দিন রাত্রি’তে বিজ্ঞাপন দিন

© All rights reserved 2020 By  DinRatri.net

Theme Customized BY LatestNews