চলছে বর্ষা আর এই বর্ষায় ছাগলের কি কি সমস্যা হয় এবং সমস্যাগুলোর সমাধান এবং ছাগলের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
কমন সমস্যাসমূহ:-
ছাগল বা ভেড়ার পানির মতো পায়খানাচোখের সমস্যা
চুলকানী
দুর্বল এবং রুগ্ন স্বাস্থ্য
হঠাৎ কোন বাচ্চার মৃত্যু।
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, Image Source: thestatesman.com
উক্ত সমস্যার জন্য যে সব পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ঘটানো দরকার তার মধ্য থেকে ৩টি প্রধান বিষয় নিচে তুলে ধরা হলো।
স্যাঁত স্যাঁতে বাসস্থান:- বর্ষায় ছাগল-ভেড়ার চলাফেলার জায়গা যেমন ভেজা থাকে,আবার অনেকের শেড ও স্যাঁত স্যাঁতে থাকে। বৃষ্টি থেকে রক্ষা পাবার জন্য কেউ কেউ ঘরের চারিদিকে ত্রেরফাল বা পলিথিন দিয়ে আটকে রাখে,মলমূত্র প্রতিদিন পরিস্কার করে না। এর ফলে এ্যামোনিয়া গ্যাসের সৃষ্টি হয়,যা ছাগল-ভেড়ার চোখের সমস্যা সৃষ্টি করে এছাড়াও বাচ্চার কক্সিডিয়োসিস রোগের সৃষ্টি করে। এসব কারনে বর্ষায় বাচ্চাসহ বড়দের ও মৃত্যু হতে দেখা যায়। তাই শেড যেন শুকনো ও পরিস্কার পরিছন্ন থাকে সেদিকে বিশেষভাবে মনোযোগ দিতে হবে।
পানিতে ডোবা ঘাস খাওয়ানো:- অতি বৃষ্টি ও বন্যার কারনে অনেক জায়গা ডুবে যায়,যার কারনে ঘাসের সংকট দেখা দেয়। তখন অনেকে পানিতে ডোবা ঘাস কেটে ছাগল-ভেড়াকে দিয়ে থাকে। তখন দেখা যায় এই ঘাসে পানির পরিমান অনেক বেশি থাকে। এটা ছাগল-ভেড়ার জন্য খুব বেশি ভালো না। আর তাই পানিতে ডোবা ঘাস খাওয়ানোর কারনে বাচ্চা মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত্য হয়ে থাকে,তেমনি বড়রাও পানির মতো পায়খানা করে। আসলে তাদের সঠিকভাবে হজমের জন্য বেশি বেশি ফাইবার(আঁশ)জাতীয় খাবার দরকার। তাই পানিতে ডোবা ঘাস খাওয়ানো যাবে না। আর যদি একান্তই খাওয়াতে হয়,তাহলে একদিন কেটে রেখে কিছুটা শুকনো করে পরের দিন খাওয়াতে হবে।
কৃমি নিয়ন্ত্রন না রাখা:- বিভিন্ন পরিসংখ্যানে দেখা যায় ছাগল-ভেড়ার অসুস্থ্যতার ৫০ ভাগের ও বেশি হয় শুধু কৃমির কারনে। আর বর্ষাকালে এর প্রকোপ আরো বাড়ে। কারন খামারের আশ পাশ বৃষ্টির পানি জমে থাকে। এর ফলে কলিজাকৃমি,পাতাকৃমি,গোলকৃমি, রক্তকৃমি,ফিতাকৃমি,প্রটোজয়া ও বিভিন্ন ধরনের বহিঃপরজীবী উকুন,আঁঠালী,মাইট ইত্যাদি ছাগল-ভেড়াকে আক্রান্ত করে। তাই বর্ষার এই সিজনে অবশ্যই কৃমির ডোজ দিবে হবে।