পরিবারের সবার নামে বাধ্যতামূলক কুরবানি দিতে হবে। এই সামাজিকতা রক্ষা করতে গিয়ে কখনো কখনো যারা নামে কুরবানি ওয়াজিব হয়েছে, তার নাম বাদ পড়ে যায়। যা মারাত্নক গুনাহ।
প্রথম বছর মেয়ের শশুর বাড়িতে পুরো একটি গরু। দ্বিতীয় বৎসর ছাগল বা গরুর রান পাঠানো। এক পর্যায়ে এসে এটা নিয়মে পরিণত হয়েছে। যা সর্বসাধারণের জন্য যুলুম।
টাকা-পয়সা না থাকলেও বা সাহিবে নিসাব না হওয়া সত্বেও ঋণ করে কিংবা ব্যাংক-সমিতি ইত্যাদি থেকে টাকা উঠিয়ে কুরবানি করা। যা শুধু মাত্র লোক দেখানো প্রথা; অথচ এটি সম্পূর্ণ শিরকে আসগার।
কোনো কোনো এলাকায় প্রচলিত আছে, মৃত ব্যক্তির নামে কুরবানি করা যায়। অথচ কুরবানি মৃত বাবা-মা অথবা দাদা-দাদী সবার নামেই করা যায়। যা ইসালে সাওয়াবের অন্তর্ভূক্ত।
কেউ কেউ বলেন, আকিকা ও কুরবানি এক সাথে করা যায় না। অথচ আকিকা-কুরবানি একই সাথে করা যায়। কেননা, দুটোর মাকসুদই এক। পশু যবেহের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।
প্রায় সব মানুষ মনে করেন যে, আকিকার গোশত বাবা-মা অথবা যার নামে কুরবানি সে খেতে পারে না। কিন্তু আকিকার গোশতের হুকুম হুবহু কুরবানির মতোই। সবাই খেতে পারে। খেতে পারে না মান্নতের গোশত।
যাদের নামে কুরবানি তাদের নামগুলো বড়ো করে করে বলা। এমন কোনো নিয়ম শরিয়ত নির্ধারন করেনি। বরং আমাদের অন্তরের খবরও মহান আল্লাহ জানেন।
যবেহের সময় চিৎকার করা; সবাই মিলে হাসি-ঠাট্টা করতে করতে পশুর গায়ে ঝাপিয়ে পড়া। এসব আচরন পশুর প্রতি চরম অমানবিকতা প্রকাশিত হয়। যা আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি যুলুমের নামান্তর।
-এ রকম আরো অনেক কুসংস্কার ও সামাজিক প্রথা চালু রয়েছে। আসুন! কুসংস্কারসমূহ এডিয়ে চলি। সঠিকভাবে কুরবানি ও আকিকা করি।
পছন্দের আরো লেখা