পবিত্র হজ উপলক্ষে কাবা শরীফের গিলাফ তিন মিটার ওপরে ভাঁজ করে রেখেছে সৌদির হজ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। ভাঁজ করা অংশটুকু সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে।
৯ই জিলহজ আরাফার (হজের) দিনে পুরোনো এ গিলাফটি বদলে নতুন গিলাফ লাগানো হবে। হজের সূচনা থেকেই এমনটি করা হয়ে থাকে বলে হারামাইন কর্তৃপক্ষ আল-আরাবিয়া জানিয়েছে।
কিসওয়া তথা গিলাফের সংরক্ষণ এবং কাবার পরিচ্ছন্নতা রক্ষার্থেই এমনটি করা হয়ে থাকে। কেননা, তাওয়াফের সময় হাজীরা কাবা শরীফ ছোঁয়ার কোশেশ করেন এবং বরকত মনে করে কেউ কেউ গিলাফ কেটে নিতে চান; যদিও ইসলামে এমন কোনো কথা বলা নেই।
তবে, এ বছর হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে বায়তুল্লাহ শরীফের চারপাশে ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে – যা তাওয়াফকারীরা অতিক্রম করতে পারবেন না।
সৌদি আরবের জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের নির্দেশনায় এবার হজে কাবার গিলাফ স্পর্শ করা এবং হাজরে আসওয়াদ চুমু দেয়া থেকে হজযাত্রীদের বিরত রাখা হবে।
মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববীর মহাব্যবস্থাপক ডঃ আব্দুর রহমান আস-সুদাইস, নিজে এ কাজগুলো দেখাশোনা করছেন। কাবার গিলাফ বদল এবং এর আশপাশ পরিচর্যায় ৫০ জন দক্ষ কর্মীকে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, বৈশ্বিক মহামারী করোনার সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে এ বছর হজ করতে ইচ্ছুক ১০ হাজার হজযাত্রীদেরকে সৌদি আরবে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। ৩রা জিলহজ মক্কায় এসে আরও চারদিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে তাদের।
৮ই জিলহজ ফজরের পর, মুসল্লীগণ রওয়ানা হবেন মিনায়। এর মাধ্যমে শুরু হবে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। ১২ই জিলহজ পর্যন্ত মিনা, মুজদালিফা, আরাফার ময়দান ও মক্কায় হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন মুসল্লিরা।
সূত্র: আল আরাবিয়া।